গাজীপুর: গাজীপুর মহানগর পুলিশের গাছা থানায় নতুন করে ২০ জন পুলিশ সদস্যের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এ থানায় মোট ২৫ জন পুলিশের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আরো ৩০ জনের নমুনা নেয়া হয়েছে। তাই ওই থানাকে লকডাউন করা হয়েছে।
আজ সোমাবার রাত ৯টা ০৬মিনিটে গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইসমাইল হোসেন সংবাদের সততা নিশ্চিত করেন।
এর আগে পুলিশের সহকমিশনার (গাছা-পুবাইল জোন) আশরাফুল উল্লাহ গণমাধ্যমকেও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, করোনা পরীক্ষার জন্য নতুন আরও ৩০ জন কর্মকর্তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে।
গত ১৩ এপ্রিল গাছা থানার এক উপপরিদর্শক প্রথম করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর ২০ জনের নমুনা সংগ্রহের পর এসি আশরাফুল উল্লাহ, ওসির দেহরক্ষী, চালক ও বাবুর্চির করোনা শনাক্ত হয়। পরবর্তীতে আইইডিসিআরের একটি মেডিকেল টিম আরও ২৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে। এদের মধ্যে নতুন এ ২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে গাছা থানার ২৫ কর্মকর্তা র শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাছা থানার এক কর্মকর্তা জানান, প্রথম থেকেই আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হলে এমনটা হত না। পর্যাপ্ত পরিমাণ পিপিই সরবরাহ করা হয়নি। প্রথম শনাক্তের পর থানা কমপ্লেক্সও লকডাউন করা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘এখন শুধু আমরাই আক্রান্ত নই, আমাদের পরিবারও আক্রান্তের আঙ্কায় রয়েছে। থানার ব্যারাকের অধিকাংশ সদস্যই করোনায় আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে কি করব বুঝতে পারছি না।’
সহকারী কমিশনার আশরাফুল উল্লাহ বলেন, ‘আমাদের অধিকাংশ কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত। আমি নিজেও আক্রান্ত। আপাতত থানার কোনো কর্মকর্তা ডিউটিতে যাবেন না। পার্শ্ববর্তী থানার টিম দিয়ে থানা এলাকায় নিরাপত্তা টহল দেওয়া হবে। থানা লকডাউন করা হবে কিনা সে নির্দেশনা কমিশনার স্যার জানাবেন।’
গাজীপুর মহানগরী পুলিশের কমিশনার আনোয়ার হোসেন জানান, গাছা থানাকে লকডাউন করা হয়েছে। থানার ভেতরে থাকা অফিসাররা থানার বাইরে যাচ্ছে না, বাইরের কেউ ভেতরে ঢুকছে না। এছাড়া অন্যান্য থানাগুলোকে সতর্ক থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।