নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ থেকে গভীর রাতে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে করে স্ত্রী ও শিশু সন্তানসহ দুই শতাধিক গার্মেন্টকর্মী পালানোর সময় পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। এসময় তাদের বহন করা পাঁচটি ট্রাক জব্দ করে পুলিশ।
শুক্রবার মধ্যরাতে ফতুল্লার পোস্ট অফিস মোড়, মুসলিমনগর, এতিমখানা মোড় ও পঞ্চবটী এলাকা থেকে তাদের আটক করে যার যার বাসায় ফেরত পাঠানো হয়।
আটক পোশাক শ্রমিকরা জানান, কর্মহীন হয়ে পড়ায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের। তার ওপর বাড়ি ভাড়ার চাপ। গত এক সপ্তাহ কোনোমতো মাটি কামড়ে পরে থাকলেও আর পারছেন না তারা। এ কারণেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে এ অনিশ্চিত যাত্রা।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, পুলিশ খবর পেয়ে পৃথক এলাকায় অভিযান চালিয়ে গার্মেন্টসকর্মীদেরকে তাদের শিশুসন্তানসহ আটক করে নিজ নিজ বাসায় ফেরত পাঠায়।
তিনি জানান, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট যাওয়ার জন্য পাঁচটি ট্রাক ভাড়া করে রাতের আঁধারে আসবাবপত্র নিয়ে রওয়ানা দেয়। পরে খবর পেয়ে ট্রাকসহ তাদের আটক করা হয়েছে। ট্রাকের চালক-হেলপারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
ওসি বলেন, কয়েক শ’ মাইল পাড়ি দিতে অতিরিক্ত লোকজন আসবাবপত্রের সাথে শিশুসন্তানদের নিয়ে ট্রাকে উঠেছিলেন। যেকোনো সময় দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে জেনেও এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে উঠেছিলেন তারা।
তিনি বলেন, এপর্যন্ত প্রায় এক হাজার ব্যক্তিকে আটক করে তাদের বুঝিয়ে আবার বাসায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাওয়া বিপজ্জনক জেনেও লোকজন রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।