সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে জ্বর, পাতলা পায়খানা ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন নবম শ্রেণীর একজন ছাত্র। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।।
হাসপাতাল সূত্র থেকে জানা যায়,ভর্তির পর কর্তব্যরত চিকিৎসক করোনা সন্দেহে ওই রোগীর নমুনা সংগ্রহ করতে চেয়েছিল। তখন রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বলা হয়েছিল যে, তারা নমুনা দিয়েছে। কিন্তু এর পরপরই তারা রোগীসহ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।
আর পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি পুলিশ ও টাঙ্গাইল পৌরসভার ১, ২, ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর মোছা. মাহ্মুদা বেগম জেবুকে ঘটনাটি জানিয়েছিলেন।
টাঙ্গাইল পৌরসভার ১, ২, ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর মোছা. মাহ্মুদা বেগম জেবু বলেছেন, “হাসপাতাল থেকে রোগীর অভিভাবকের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তার সাথে কথা বলেছি। আর তিনি আমাকে জানিয়েছেন যে, তারা তো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তারপর আমি রোগীর মায়ের সাথে কথা বলে জানতে পারি যে তারা রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি না করে ঢাকার একটি ম্যাসে অবস্থান করছেন।”
তিনি আরো জানিয়েছেন, “ফোন পাওয়ার পর আমি মেয়রের সাথে কথা বলেছি এবং উনার পরামর্শ মতো বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দিয়ে লকডাউন করে দিয়েছি।”
টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব জামিলুর রহমান মিরন জানিয়েছেন,”আমি জানা মাত্রই ওই বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে বাড়িটি লকডাউন করার নির্দেশনা দেই। আর বাড়িটি বর্তমানে লকডাউন অবস্থায় আছে। এতে পরীক্ষার ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত লকডাউন থাকবে। এছাড়া পরিবারটিকে পৌরসভা থেকে সার্বিক সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছি।”