দিনাজপুর: দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ভুল চিকিৎসায় সোনাক্সী নামে ৬ মাসের এক শিশু কন্যার মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকার লোকজন বিক্ষুদ্ধ হয়ে ডাক্তার মুহাম্মদ এনামুল হক শহরের জননী ফার্মেসীতে তার চেম্বারে তাকে অবরোদ্ধ করে রাখে। এ খবর জানতে পেয়ে পার্বতীপুর মডেল থানার পুলিশ গিয়ে ডাক্তার মুহাম্মদ এনামুল হককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। প্রভাবশালী একটি মহলের চাপে রাত ৯টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। দিনাজপুরে জেলার পার্বতীপুর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নে ডাক্তার মুহাম্মদ এনামুল হকের গ্রামের বাড়ী, এবং তিনি নীলফামারী সদর হাসপাতালের কনসাল্টটেন্ট চিকিৎসক।
শিশুটির মা স্বপ্না জানান, জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় সোনাক্সীকে গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে ডাক্তার এনামুল হকের সৈয়দপুর বাঙ্গালীপুর চেম্বারে নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডাক্তার এনামুল শিশুটিকে দেখার পর একটি ডাইসিফিন (২৫০মি.লি) ইনজেকশন পুশ করে ব্যবস্থাপত্র লিখে দেয়। ডাক্তারের চেম্বার থেকে বাহির হয়ে বাড়ি আসার পথে শিশুটি চেতনা হারিয়ে ফেলে। এ অবস্থায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিশুটিকে পার্বতীপুরের রাজাবাসর ল্যাম্ব হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করে। এ ঘটনায় এলাকার লোকজন বিক্ষুদ্ধ হয়ে ডাক্তার মুহাম্মদ এনামুল হক শহরের জননী ফার্মেসীতে তার চেম্বারে তাকে অবরোদ্ধ করে রাখে। এ খবর জানতে পেয়ে পার্বতীপুর মডেল থানার পুলিশ গিয়ে ডাক্তার মুহাম্মদ এনামুল হককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। প্রভাবশালী একটি মহলের চাপে রাত ৯টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে পার্বতীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন মন্ডল বলেন, ডাক্তার এনামুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসাও হয়নি এবং কোনো চাপে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়াও হয়নি। জনরোষ থেকে বাঁচাতে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। তাছাড়া বাদিপক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগও দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ওসি জানান।