ঢাকা: রাজধানী ঢাকায় নতুন করে আরো ১০টি এলাকায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়।
রাজধানীর নতুন আক্রান্ত এলাকাগুলো হলো- আরমানীটোলা, বানিয়ানগর, খিলগাঁও, কুড়িল, মিরপুর -১৪, মতিঝিল, শাখারি বাজার, শান্তিবাগ, শ্যামপুর, ভাটারা।
গত ২৩শে মার্চ আইইডিসিআর প্রথমবারের মতো সাতটি জেলার নাম প্রকাশ করে, যেখানকার মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সেই জেলাগুলো ছিল- ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, কুমিল্লা, গাইবান্ধা, চুয়াডাঙ্গা ও গাজীপুর। তারপর থেকে প্রতিদিন বেড়েছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা। সেই সাথে বেড়েছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
এখন শুধু রাজধানী ঢাকাতেই করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৮৩ জন। এ ব্যাপারে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের মঙ্গলবারে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী কয়েকদিনের ব্যবধানেই কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী ছড়িয়ে পড়েছে ঢাকার মোট ৮৬টি এলাকায়। ঢাকার আক্রান্ত এলাকাগুলো ও আক্রান্তের সংখ্যা হলো- আদাবর (২), আগারগাও (২), আজিমপুর (৪), বাবুবাজার (১১), বাড্ডা (৪), বেইলি রোড (৩), বনানী (৭), বংশাল (৭), বাসাবো (১৪), বসুন্ধরা (৪), চকবাজার (৫), ধানমন্ডি (১৫), গেন্ডারিয়া (৬), গ্রীণ রোড (৯), গুলিস্তান (২), গুলশান (৪), হাতিরপুল (২), হাজারীবাগ (৮), ইসলামপুর (২), জেলগেট (২), যাত্রাবাড়ী (১৬), ঝিগাতলা (৩), কামরাঙ্গীর চর (১), খিলগাঁও (১), কদমতলী (১), কোতোয়ালি (২), লালবাগ (১৫), লক্ষ্মীবাজার (২), মালিবাগ (২), মীর হাজারীবাগ (২), মিরপুর-১ (৫), মিরপুর -৬ (২), মিরপুর -১০ (৫), মিরপুর-১১ (১১), মিরপুর -১২ (১০), মিরপুর -১৩ (২), মগবাজার (৪), মহাখালী (৮), মোহাম্মদপুর (১৩), নারিন্দা (২), নিকুঞ্জ (১), পীর বাগ (২), পুরানা পল্টন (২), রাজারবাগ (৫), রামপুরা (২), শাহ আলী বাগ (২), শাহবাগ (২), শান্তিনগর (৬), সোয়ারি ঘাট (৩), তেজগাঁও (৫), টোলারবাগ (১৯), সূত্রাপুর (৬), উত্তরা (১৭), ওয়ারী (২২)।
এছাড়াও আরমানিটোলা, আশকোনা, বানিয়ানগর, বেড়িবাধ, বসিলা, বুয়েট এলাকা, সেন্ট্রাল রোড, ঢাকেশ্বরী, ধোলাইখাল, দয়াগঞ্জ, ইস্কাটন, ফার্মগেট, হাতিরঝিল, কামরাঙ্গীর চর, কাজীপাড়া, খিলগাও, কদমতলী, কুড়িল, মানিকদি, মিরপুর-১৪, মিডফোর্ট, মতিঝিল, মুগদা, নবাবপুর, নিকুঞ্জ, রায়েরবাজার, সায়েদাবাদ, শাখারী বাজার, শান্তিবাগ, শ্যামপুর, সিদ্ধেশ্বরী, শনির আখড়া, উর্দু রোড, ভাটারায় এখন পর্যন্ত একজন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।
আর ঢাকা সিটির পরেই আক্রান্তের সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ। নারায়ণঞ্জে ১৪৪ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে এই জেলাকে করোনাভাইরাসের এপি সেন্টার ঘোষণা করা হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে ইতোমধ্যে ঢাকার ৫২টিরও বেশি এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়াও জন সচেতনতামূলক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার।