গাজীপুর: ভাড়াটিয়াদের মধ্যে সামান্য ঝগড়া হওয়ার বিচার লকডাউনের পরে করে দেয়ার কথা বলায় দলবেঁধে বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়ির মালিককে রক্তাক্ত জখম করেছে এক দল ব্যক্তি। অনধিকার প্রবেশ করে জমায়েত করতে নিষেধ করার কারণে জখম হওয়া ওই ব্যক্তি বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার বাংলাবাজারে ওই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ডগরী নয়াপাড়া গ্রামের চান মিয়ার ছেলে আঃ রাজ্জাক বাংলাবাজারে জনৈকি বাছিরের দোকানে বসা অবস্থায় একদল লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে। অস্ত্রধারী ওই ব্যক্তিরা রাজ্জাকের নাকে আঘাত করে রক্তাক্ত করে মারপিট করেন। এরপর স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করলে ওরা চলে যায়।
আ: রাজ্জাক জানায়, তার বাড়ির ভাড়াটিয়ারা যেন বিনা কারণে বাইরে যেতে না পারে সেজন্য তিনি বাসার গেটে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন স্থানীয় নয়াপাড়া গ্রামের নজুমদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন কবির সরকার। রাজ্জাক জানায়, কারণে অকারণে ওই ব্যক্তি প্রায়ই তার বাসায় যাতাযাত করার কারণে ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। সম্প্রতি ভাড়াটিয়াদের মধ্যে সামান্য ঝগড়া হওয়ায় আঃ রাজ্জাক দুই পক্ষকে থামিয়ে দিয়ে বিচার করার আশ্বাস দেন। অতঃপর কৌশলে দুই পক্ষকে ম্যানেজ করে লকডাউন পরিস্থিতির পর বসে মিমাংসার কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরের পর বিচারের একটি ধার্যদিন থাকলেও তিনি লকডাউনের পর বিচার করবেন বলে ভাড়াটিয়াদের জানিয়ে দেন। কিন্তু হুমায়ূন কবির সরকার একদল লোক নিয়ে বাসার ভিতরে জোরপূর্ক প্রবেশ করে সমাবেশ ঘটানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এরপর আঃ রাজ্জাক বাংলাবাজারে গেলে ওই ব্যক্তিরা তার উপর আক্রমন করে জখম করে।
অতঃপর আঃ রাজ্জাক শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাপাতালে চিকিৎসা করেন। এ বিষয়ে বিচার চয়ে স্থানীয় জয়দেবপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।