বাংলাদেশে ৫ই জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিন থেকেই রাজনৈতিক অবস্থা উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। চলছে বিএনপির লাগাতার অবরোধ।কিন্তু সরকার সংকট নিরসনে কোন ধরণের সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে।বিশ্লেষকরা বলছেন দু পক্ষের কঠোর অবস্থানে উদ্বেগ বাড়ছে।
যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন খালেদা জিয়া চাইলে তার বাসায় যেতে পারেন।ওদিকে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা একের পর এক গ্রেফতার হচ্ছেন।
পাশাপাশি চলছে বিএনপি অবরোধ এবং বিভিন্ন জেলায় নানা ঘটনায় দেয়া হচ্ছে হরতাল।
এরিমধ্যে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় এক সমাবেশে বলেছেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি ভুল করেছে, সেই মূল্য বিএনপিকেই দিতে হবে, জনগণকে নয়।
তাহলে এই অবস্থায় চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান কোন পথে?
এ নিয়ে বিবিসির সকালের অধিবেশনে স্টুডিওতে এসে আলোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।তিনি বলেন, “সরকারের অবস্থান কঠোর বলেই মনে হচ্ছে। কাল যারা সমাবেশে বক্তব্য দিয়েছেন তাদের কথা শুনে মনে হয়েছে যে তারা দল, দেশ ও সরকারকে একটা হার্ডলাইনে নিয়ে যেতে যান। এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেও তাদের কথাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে”।
তিনি বলেন সরকার একেবারেই কঠোর অবস্থানে চলে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ছাড় দেয়ার মানসিকতাতে নেই। প্রধানমন্ত্রীও বলে দিয়েছেন ২০১৯ সালের আগে সংলাপের সম্ভাবনা নেই।
“যেটুকু সংলাপের সম্ভাবনা ছিল সেটুকু তিরোহিত হয়ে গেছে। ২০১৯ সালের আগে নির্বাচন হবেনা, নির্বাচন না হলে সংলাপ হবেনা এবং সংলাপ কার সঙ্গে এমন কথাও বলা হয়েছে আওয়ামী লীগের সমাবেশ থেকে”।
বিএনপির ছাড় দেয়ার সম্ভাবনা নিয়ে মিস্টার ইসলাম বলেন বিএনপিরও ছাড় দেয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই তিন মনে করেন।
“প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তারা যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তাতেও মনে হচ্ছে তারাও হার্ডলাইনে যাচ্ছে”।তিনি বলেন, “অবরোধ কোন সমাধান নয়। জনসম্পৃক্ততা সেখানে নেই। ১৮/১৯ জন মারা গেছে অকারণে। বিএনপির পক্ষ থেকেও বড় অবস্থানে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই”।
মিস্টার ইসলাম মনে করেন সংলাপের শুরু হলে একটা সমাধান আসতো।
“সামনের চিত্র ভয়াবহ। মানুষ উদ্বেগের মধ্যে আছে। যেভাবে চোরাগোপ্তা হামলা সে কারণে মানুষের মধ্যে স্বস্তি নেই। এভাবে দেশ চলতে পারেনা”।