চট্টগ্রাম: করোনায় প্রথম মৃত্যু দেখলো চট্টগ্রামবাসী। ৬৯ বছর বয়সী মৃত ওই ব্যক্তির নাম সিরাজুল ইসলাম। চট্টগ্রামে প্রথম করোনা আক্রান্ত তিনি। চট্টগ্রাম মহানগরীর দামপাড়া এলাকায় মেয়ের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া আলী নগরের ইছামতি এলাকায়। তিনি একজন সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা ছিলেন।
আজ রোববার সকালে এ তথ্য দিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি জানান, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় শনিবার রাতে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
একই হাসপাতালে তার ছেলেও আইসোলেশনে রয়েছেন বলেন জানান সিভিল সার্জন।
সিভিল সার্জন বলেন, আইসোলেশনে থাকা ওই ব্যক্তি সৌদি আরব থেকে ওমরা ফেরত মেয়ের সংস্পর্শে ছিলেন। মেয়ের সঙ্গে নগরীর দামপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত ৩রা এপ্রিল সকালে করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আসেন। এর আগে তিনি নগরীর বেসরকারি ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি হন।
৩রা এপ্রিল সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে অবস্থিত বিআইটিআইডিতে তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস শনাক্ত হলে ন্যাশনাল হাসপাতালের তিন চিকিৎসক, নার্স এবং পরিবারের ছেলে-মেয়েসহ ২৫ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। এছাড়া দামপাড়ায় নিজেদের থাকা ভবনসহ ৬ বাড়ি এবং সাতকানিয়া ও চন্দনাইশে তার নিকটাত্মীয়দের ১৮টি বাড়ি লকডাউন করা হয়।
পরে ৫ই এপ্রিল তার ছেলের নমুনা পরীক্ষায়ও করোনা শনাক্ত হয়। ফলে তাকেও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে নেয়া হয়। এ অবস্থায় শনিবার রাতে সিরাজুল ইসলামের মৃত্যু ঘটে।
সিভিল সার্জন জানান, চট্টগ্রামের বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত লক্ষীপুরের একজনসহ ১০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে বাবা ও ছেলে ছাড়া গত ৮ই এপ্রিল তিনজন, ৯ই এপ্রিল ২ জন এবং ১০ই এপ্রিল ৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
এদের মধ্যে একজন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার বাসিন্দা। বাকি দু’জন নগরীর হালিশহরের শাপলা আবাসিক এলাকা ও সাগরিকা এলাকায় থাকেন। একজন ফিরিঙ্গিবাজারের শিববাড়ি লেইন ও আরেকজন আকবরশাহ থানার ই¯পাহানি গেট গোলপাহাড় এলাকার বাসিন্দা।