ঢাকা: রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের করা পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) চেয়ারম্যান আবদুস সালামের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৩ জানুয়ারি) শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা আলীর আদালত।
তেজগাঁও থানায় দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বর্তমানে ৫ দিনের রিমান্ডে আছেন আবদুস সালাম। মঙ্গলবার তাকে সিএমএম আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ।
এর আগে গত ৬ জানুয়ারি আবদুস সালামকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে একই মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিল ডিবি পুলিশ। এ সময় তার জামিনের আবেদনও জানানো হয়েছিল। ৮ জানুয়ারি শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহের নিগার সূচনার আদালত রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আব্দুস সালামকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
৬ জানুয়ারি মধ্যরাতে ইটিভি কার্যালয়ের নিচ থেকে সালামকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর তাকে পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় গ্রেফতার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখানো হয়।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি (নম্বর ১৪) দায়ের করেন কানিজ ফাতেমা নামের এক মহিলা। মামলায় ৪ জনকে আসামি করা হলেও আবদুস সালামের নাম ছিল না।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা মামলার বাদিনীর অজ্ঞাতে তার স্থির ও ভিডিওচিত্র গোপন ক্যামেরায় ধারণ করে অন্য মহিলার অশ্লীল ছবির সঙ্গে বাদিনীর মুখমণ্ডল সংযুক্ত করে ছবিগুলো ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট, মোবাইল ফোন, ফেসবুক ও বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইসে ছড়িয়ে দেয়। আবদুস সালামের বিরুদ্ধে এ কাজে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়।
গত ৮ জানুয়ারি দুপুরে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আবদুস সালামের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেন থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই বোরহানউদ্দিন। গত ৪ জানুয়ারি রাতে লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে তারেক রহমান রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক বক্তব্য দেন এবং ইটিভি ওই বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করে- এ অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। এ মামলায় আদালতের মাধ্যমে আবদুস সালামকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।