ঢাকা: ঘনকুয়াশার মধ্যে মধ্যরাতে চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে একটি লঞ্চের ধাক্কায় আরেকটির দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। সোমবার মধ্যরাতে চাঁদপুরের বড়স্টেশন মোলহেড এলাকায় মেঘনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক হুমায়ূন কবির জানান। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে বরিশালগামী পারাবাত-৯ নামের একটি লঞ্চ বরিশাল থেকে ঢাকামুখী এমভি সুন্দরবন-৮ লঞ্চে ধাক্কা দিলে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। ধাক্কায় সুন্দরবন-৮ লঞ্চের একাংশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এ দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন শাহানা বেগম (৬৫) ও শাকিল (৬)। শাহানা চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ও শাকিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লঞ্চের যাত্রী শাকিল মারা গেছে। আহত যাত্রীরা হলেন রূপা (২৭), ডালিয়া (৩৮), শিউলি (৩৫), রাব্বি (১১), মনোয়ারা (৫০), সুরাইয়া (২৮), জেরিন (৯), জাহাঙ্গীর (৩৬), ওয়াহিদ (২৭) ও মোস্তফা কামাল (৩৫)। তাঁরা সবাই সুন্দরবন লঞ্চের যাত্রী। তাঁদের বাড়ি বরিশালের বিভিন্ন উপজেলায়। আহত ব্যক্তিদের প্রথমে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাতজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চাঁদপুর নৌ-পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরের ভাষ্য, প্রায় এক হাজার যাত্রী নিয়ে বরিশাল থেকে সুন্দরবন-৮ লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। লঞ্চটি চাঁদপুর এলাকায় মেঘনার মোহনা অতিক্রম করার সময় ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে আসা এমভি পারাবত-৯ লঞ্চের সঙ্গে এটির সংঘর্ষ হয়। এতে সুন্দরবন-৮ লঞ্চের ডান পাশের চারটি কেবিন দুমড়ে-মুচড়ে গেলে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। মনিরের দেওয়া তথ্যমতে, এ দুর্ঘটনার পর পারাবত লঞ্চটি বরিশাল চলে গেছে। সুন্দরবন লঞ্চটি ঢাকায় চলে এসেছে। এ ঘটনায় সকাল আটটা পর্যন্ত মামলা হয়নি।