হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাটঃ বিশ্বজুড়ে সর্বত্র করোনা আতঙ্ক। বাংলাদেশেও ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশজুড়ে কার্যত লকডাউন চলছে। এই অবস্থায় দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি না করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা থাকলেও এই করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও থেমে নেই ত্রাণের চাল চুরি। চাল চুরির ঘটনায় এবার লিপ্ত হলেন চন্দ্রপুর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ রবিদাস চন্দ্র রায়।
বৃহস্পতিবার (৯এপ্রিল) শবে বরাতের রাতে মুসল্লীরা যখন ইবাদত নিয়ে ব্যস্ত ঠিক সেই সময় রাত সাড়ে ৮ টার দিকে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের গুদাম থেকে ১৫ বস্তা চাউল চুরি করার সময় পাবলিকের হাতে ধরা খেলেন গ্রাম পুলিশ (দাফাদার) রবিদাস চন্দ্র রায়।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ গেট চাপারহাটে।
গ্রামপুলিশ (দফাদার) রবিদাস উপজেলার বত্রিশহাজারী গ্রামের মৃত সুশীল চন্দ্র রায়ের ছেলে।
চাপারহাটের ব্যবসায়ী ছফর উদ্দিন বলেন, তিনি চাপারহাট হইতে বাড়ীতে যাওয়ার পথে পরিষদ গেটে একটি ভ্যানগাড়িতে চাউল দেখতে পাই।
তাকে দেখামাত্র ভ্যান চালক পালিয়ে যায় এবং দফাদার রবিদাস তাকে জড়িয়ে ধরে বলে ঝামেলা না বাড়িয়ে আপনি এক বস্তা চাউল নিয়ে যান। তিনি তার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় দফদার রবিদাস পাবলিক কে চাউল নিয়ে যেতে বলে ঘটনাস্থল হইতে পালিয়ে যায়। চাল চুরি করার বিষয়ে একই কথা জানালেন চাপারহাটের নাইটগাড আঃ রহমান।এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয় ইউপি সচিব সরাফত জানান, আমি এ বিষয় কিছুই জানি না।
এ বিষয় চন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অত্র ইউনিয়নের তদারকি কর্মকর্তা ও উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ফেরদৌসুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার কোন বিতরন ছিল না এবং এ বিষয় আমাকে জানানো হয়নি।
এ বিষয় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল হাসান জানান, এটা সুবিধাভোগীর চাল তারা একত্রিত করে নিয়ে যাচ্ছিল। এ চাল সন্ধায় কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।