গাজীপুর: গাজীপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী (১৫) ডেকে নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে পালাক্রমে গণধর্ষণের পর হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার রাতে কিশোরির বাবা গাছা থানায় মামলা দায়ের করেন।
এতে ক্ষোভে ও লজ্জায় আত্মহত্যার চেষ্টায় চেলায় প্রেমিকা। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই কিশোরীকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার কামারজুরি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী পরিবারের সাথে মহানগরের কামারজুরি এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। তারা-বাবা-মা পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। একই এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন বাবুর (২৫) সঙ্গে দুই বছর আগে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিছুদিন যাবৎ বিয়ের জন্য চাপ দিলে মঙ্গলবার বিকেলে বাবু তাকে (কিশোরীকে) বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে একটি নির্জন স্থানে প্রেমিক বাবু ও তার ৫ বন্ধু মিলে পালাক্রমে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে স্যাভলন খাইয়ে প্রেমিকাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। হত্যায় ব্যার্থ হয়ে পরে সন্ধ্যায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাকে বাসার সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় প্রেমিক ও তার সহযোগীরা। কিশোরীর স্বজনেরা দ্রুত তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমসাইল হোসেন জানান, প্রেমের সুযোগ নিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিক রাসেল হোসেন বাবু ওই কিশোরীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিল। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে বাবুসহ তার ৫ সহযোগীকে অভিযুক্ত করে বুধবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামী ধর্ষকদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।