বগুড়া: বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ্বাসকষ্ট ও জ্বরে ৩ জন মারা গেছেন। তাদের একজন বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার একজন মহিলা (৩০), দ্বিতীয় জন একই জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার মাঝ বয়সী পুরুষ (৪৫), তৃতীয় জন নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার একজন মহিলা (৩০)।
শজিমেকের সহকারী পরিচালক ডাক্তার আব্দুল ওয়াদুদ জানান, বৃহস্পতিবার গাবতলী উপজেলার মহিষাবানের একজন মহিলা জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হন। তাকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন কেন্দ্রে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল। এমন সময় সে মারা যায়।
বুধবার সিংড়া উপজেলার এক মহিলা জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়। তাকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আইসোলেশন কেন্দ্রে পাঠানো হলে পথেই তিনি মারা যান। একই দিনে জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়া দুপচাঁচিয়ার এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বগুড়ার সিভিল সার্জন ডাঃ গওসুল আজিম চৌধুরী জানান, যেহেতু ওই মৃত ব্যক্তির জ্বর, শ্বাসকষ্ট ছিল। তাই তারা করোনাভাইরাসে মারা গেছেন কিনা এটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য রাজশাহীতে নমুনা পাঠানো হয়েছে। নমুনার ফলাফল এলে বোঝা যাবে তাদের মৃত্যুর কারন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বাড়িতে লকডাউনের জন্য স্ব স্ব উপজেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে।
জেলার গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওনক জাহান জানান, মহিষাবানের সাবানার বাড়িসহ ১৩ টি বাড়ি লকডাউন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে।
জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেন জানান, ওই বাড়িসহ পাশের ৫ টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তবে নাটোরের সিংড়ার আর্জিনার বাড়ী লক ডাউন করা হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।