কামরান হাবিব (রংপুর): যেখানে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত করেছে গোটা বিশ্বকে সেখানে মানবতার জাগরণের বিকল্প বলতে কিছু নেই।এমন এক বাস্তবতার কথা উপলদ্ধি করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পাটগ্রাম উপজেলা শাখার সাবেক এাণ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান নীলু নিজেস্ব চেতনায় জাগ্রত হয়ে গতকাল পাটগ্রাম পৌরসভাধীন ৬ নং ওয়ার্ড এবং তার নিজ গ্রামের বাড়ি কালিরহাট এলাকার ৫০টি অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে জরুরি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। এছাড়াও তিনি পাটগ্রাম পৌরসভার ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিল ও সূধীজনদের সাথে নিয়ে সকলের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় ৩ শতাধিক অতিদরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে গুণগতমানের জরুরি খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করেছেন তিনি।
প্রায় ১লাখ ৫ হাজার টাকা ব্যয়ে চাউল, ডাল, আলু, লবণ, তেল, চিরা, গুড় ও সাবান একএিত করে প্যাকেট প্রস্তুত করে অতিদরিদ্র মানুষ গুলোর হাতে পৌছিয়ে দিয়েছিলেন।
তার এমন দায়িত্বশীল মনোভাবে খুশিতে আত্নহারা অসহায় পরিবার গুলো। করোনা ভাইরাসের আগ্রাসনে কর্মহীন মানুষ গুলোর আত্ননাত সকলের আবেগকে জাগ্রত করেছে বলেই গৃহীত এমন পদক্ষেপ সমুহ কার্যকর হয়েছে যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। এমন উদ্যোগের সাথে কাউন্সিল মোঃ আসাদুজ্জামান লিটন, কাউন্সিল মোঃ মজিদুল ইসলাম, রাবিউল ইসলাম ( ইঞ্জিনিয়ার),বিশ্বাসজিত কুমার হিসাবিয়া (আলো বাবু), আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম প্রধান,যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম রুবেল, মোঃসামছুল ইসলাম, মোঃ সোলায়মান হোসেন, মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ জাকির হোসেন,মোঃ নূরুল হক, আলহাজ্ব আবু তাহের, মোঃ সাইদুল ইসলাম,সহকারি শিক্ষক মোঃআব্দুল খালেক, সাংবাদিক কামরান হাবিব সহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সূধীবৃন্দ সামিল হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন।
এবিষয়ে অধ্যক্ষ মো: মিজানুর রহমান নীলু বলেন এখানে গর্ব করে বলার কিছু নেই এমন পরিস্থিতিতে আমি নিজস্ব উদ্যোগে অতিদরিদ্র মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি মাত্র। তাই বলে এখানেই আমার দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে তা নয় কিন্তুু। পরিস্থিতির সাথে সাথে আমাদের সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে আগামীর জন্য। ইতিপূর্বে আমার কর্মস্থল পাটগ্রাম মহিলা কলেজ সংলগ্ন এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে সকলের সহযোগিতায় সেখানকার কর্মহীন অসহায় মানুষের জন্য জরুরি খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করেছি। এমন মহৎ কাজে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমি সর্বদাই জনকল্যাণমূলক ও সমাজসেবামূলক কাজের সাথে যুক্ত তাই মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে পারলেই যেনো আলাদা একটা শান্তি।তবে সকল পরিস্থিতিতে মানুষ ও মানবতার জন্য আমার এমন দায়িত্বশীল পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে ” ইনশাআল্লাহ” এজন্য সকলের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। এছাড়াও আমি ধন্যবাদ জানাই তাদের যাদের অক্লান্ত চেষ্টায় আমরা এই ঘনবসতির এলাকার অতি সামান্য কিছু পরিবারের মাঝে জরুরি খাদ্য সামগ্রী তুলে দিতে পেরেছি। আমি সকলের রোগ মুক্তি কামনা করছি। আমি সবাইকে করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে, সকলের মঙ্গল কামনা করছি। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু। তবে এসব জরুরি খাদ্য সামগ্রী হতে পেয়ে উপকারভোগী সকল মানুষ ছিলেন খুশিতে আত্নহারা। তারা বলেন অধ্যক্ষ নীলু ভাই আমাদের যোগ্য অভিভাবক যখন কোনো বিপদ আসে উনি আমাদের পাশে থাকেন, আল্লাহ তার মঙ্গল করুক। তার জন্য আমাদের দোয়া রইলো।