ঝিনাইদহ: এবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এমপি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ত্রাণ দেয়ার পর যুবলীগের এক নেতা কেড়ে নিয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঝড় তুলেছেন নেটিজেনরা। গত রোববার উপজেলার বলিদাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই ঘটনা ঘটে। পরে আজ বুধবার গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে বিষয়টি ফাঁস করে দেন সুফিয়া খাতুন নামে এক হতদরিদ্র মহিলা।
তিনি অভিযোগ কওে বলেন, গত রোববার বিকালে তিনি ত্রাণ নিতে গিয়েছিলেন বলিদাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। ত্রাণের প্যাকেট সামনে নিয়ে ছবি তোলার পর তা আবার কেড়ে নেয়া হয়। এরপর খালি হাতে ফিরতে হয়েছে বাড়িতে।
সুফিয়া বলিদাপাড়া গ্রামের হায়দার আলীর স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, ওইদিন বিকালে বলিদাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ত্রাণ দেয়ার জন্য ডাকা হয়। পৌরসভার গাড়িতে করে ত্রাণ নিয়ে আসা হয়। কিছুক্ষণ পর স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার, ইউএনও সুবর্ণা রানী সাহা ও পৌর মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ ত্রাণ বিতরণ করতে মাঠে আসেন। তারপর তাদের সামনে দেয়া হয় ত্রাণের প্যাকেট। এরপর ত্রাণ বিতরণের ছবি তোলা হয়। ত্রাণ বিতরণ শেষে মাগরিবের আযান দেয়ায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পৌর মেয়র বিদ্যালয় মাঠ ত্যাগ করেন।
এরপর অসহায় কয়েকজনকে বলা হয় আপনাদের নাম তালিকায় নেই। তাদের কাছ থেকে ত্রাণের প্যাকেট কেড়ে নেন বলিদাপাড়ার যুবলীগ নেতা সমীর হোসেন ও বাবরা গ্রামের লিটন। একই গ্রামের বাহাদুর ম-লের স্ত্রী সুন্দরী খাতুন অভিযোগ করেন, আমার স্বামীর বয়স প্রায় ৮০ বছর। একটা মাত্র ছেলে ভাংড়ির ব্যবসা করে। অনেকদিন ধরে কাজে যেতে পারছে না। গত রোববার চাল দেয়ার পর আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছে। সমীর নামের এক ছেলে চাল কেড়ে নেয় বলে সুন্দরী খাতুন অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগ নেতা সমীর হোসেন জানান, যাদেরকে ওই সময় ত্রাণ দেয়া হয়েছিল তাদের তালিকায় নাম ছিলো না। এ কারণে ত্রাণ নিয়ে তালিকা ভুক্তদের দেয়া হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রাণী সাহা বলেন, আমি সেখানে ত্রাণ দিতে গিয়েছিলাম। তবে ত্রাণ কেড়ে নেয়ার ব্যাপারে আমি তো কিছুই জানি না।