দুই জেলায় রাস্তায় গাড়িতে সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটেছে। জামালপুরে রাস্তার পাশে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় সন্তান প্রসব করেছে এক নারী। গতকাল সকালে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে, গাইবান্ধায় চিকিৎসায় অসহযোগিতায় ফিরে যাওয়ার সময় রাস্তায় সন্তান প্রসব করতে বাধ্য হলেন এক মা। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- জামালপুর : ইসলামপুর উপজেলায় রাস্তার পাশে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় সন্তান প্রসব করেছে এক নারী। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসভার কলেজ রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঝর্ণা বেগম (২৫) নামে ওই নারী একটি ছেলে সন্তান প্রসব করে। সে ইসলামপুরের বেলগাছা ইউনিয়নের ধনতলা গ্রামের মো. এনামুল হকের স্ত্রী। ঝর্ণা বেগমের স্বামী মো. এনামুল হক জানান, গতকাল সকালে ঝর্ণা বেগমের প্রসব ব্যথা শুরু হলে অটোরিকশায় ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। করোনাভাইরাসের কারণে আতঙ্কিত হয়ে বিভিন্ন রাস্তায় বাঁশ, ইট, গাছের গুঁড়ি ফেলে স্থানীয়রা লকডাউন করে রেখেছে। যে কারণে হাসপাতালে আসতে সময় বেশি লাগে। এরই মধ্যে ঝর্ণা বেগমেরপ্রসব ব্যথা শুরু হলে পৌরসভার কলেজ মোড় এলাকায় রাস্তার পাশে অটোরিকশাটি থামানো হয়। এ সময় স্থানীয় মহিলাদের সহযোগিতায় অটোরিকশায় সন্তান প্রসব করানো হয়। মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ থাকায় তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না নিয়ে বাড়িতেই ফিরিয়ে আনা হয়।
গাইবান্ধা : গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সন্তান প্রসবের জন্য এসে তাদের অসহযোগিতায় ফিরে যাওয়ার সময় রাস্তায় প্রসব করতে বাধ্য হলেন এক মা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত ৮টার দিকে। নবজাতক জন্ম দেওয়া ওই মায়ের নাম মিষ্টি আকতার (২০)। তিনি সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে আবদুর রশিদের স্ত্রী। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ লোকজন মাতৃসদন ঘেরাও করে। নবজাতকের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আবদুর রশিদ তার স্ত্রীর প্রসব ব্যথা উঠলে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়ে যান। কিন্তু কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মী তৌহিদা বেগম কোনোরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই অন্তঃসত্ত্বাকে অন্যত্র নিয়ে যেতে বলেন। রোগীর লোকজন অনুরোধ করার পরও তৌহিদা কর্ণপাত করেননি। ফলে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার পথে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরে মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় মহিলা চিৎকার শুরু করেন এবং একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেন। সন্তান প্রসবের পর মায়ের প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এ সময় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ঘেরাও করে। পরে কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা প্রদান করে। গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. সেকেন্দার আলী বলেন, অভিযুক্ত কর্মীকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।