রাতুল মন্ডল শ্রীপুর: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত না করে বীরের বেশে রাস্তায় গাজীপুর জেলা পুলিশের সদস্যরা।
করোনা পরিস্থিতিতে ২৪ ঘন্টা দেশের ক্লান্তিলগ্নে নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছেন দেশ মাতৃকার সেবাই। সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত না করে থানা থেকে বেড় হয়ে যান বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া, মহল্লায়, হাটবাজার, বিভিন্ন পয়েন্টের চেকপোস্টে। প্রখর রোদে দাঁড়িয়ে কথা বলেন অনেক জনসাধারণের সাথে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাহিরে বেড় হলে তাদেরকে বুঝিয়ে ঘরে ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। আদু কি জানে ঐ পুলিশ সদস্য। যদের সংস্পর্শে যেয়ে তাদের বুঝাতে এসে তিনিও করোনা সংক্রমিত হতে পারেন।
কথা হয় উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনা বাজার পুলিশ চেকপোস্ট দায়িত্বে থাকা শ্রীপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মো. সোহেল রানার সাথে। তিনি জানান, দেশ মাতৃকার ডাকে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনিতে যোগদান করার সময় শপথের যথাযথ বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। আর আমরা যারা পুলিশ সদস্য তাদের পদে পদে বিপদ। মরণঘাতী করোনা পরিস্থিতিতে আমরা অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত না করেই রাস্তায় কাজ করছি। আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা উর্ধতন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব।
মরণঘাতী করোনা পরিস্থিতিতে পুলিশ যেন এক যুদ্ধক্ষেত্র দায়িত্ব পালন করছে। যেখানে লুকায়িত শত্রুর সঙ্গে অহর্নিশ লড়াই চলছে রাত-দিন। এই লড়াই পুলিশ সদস্যদের শত্রুকে ধ্বংস করার। খালি চোখে দেখতে না পাওয়া এই শত্রুকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা। ছোট্ট একটি এলাকায় এই শত্রুর আক্রমণ শুরু হলেও তা ধীরে ধীরে ছড়াতে থাকে সর্বত্র। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। যে শত্রুর নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নেই তার লক্ষ্যে পরিণত হচ্ছেন রাষ্ট্রের প্রধান থেকে ফুটপাতে জীবন কাটিয়ে দেয়া আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা।
কথা জৈনা বাজার চেকপোস্টে আমিনুল পোশাক কর্মীর সাথে তিনি জানান, তার প্রতিক্রিয়ার কথা। পুলিশের প্রতি ছিলো তার ভিন্ন ধারণা। আর এই মরণঘাতী করোনা পরিস্থিতিতে তাদের দায়িত্বশীল জায়গায় দেখে তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধার আর ভালোবাসার জায়গাটা দীর্ঘ হয়ে গেলো।
ব্যাংকার শামিম হোসেন বলেন, এই সময়ে আমরা ঘরে বসে সবাই নিজেদের সুরক্ষা করছি। আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ সদস্যরা রাজ পথে আমাদের সচেতন করছে। সত্যি বিপদের মুহুর্তে ওরাই আসল বীর। স্কুল শিক্ষক মোতাহার হোসেন খান বলেন জাতির ক্রান্তিলগ্নে পুলিশই একমাত্র ভরসা। জীবনের মায়ায় সবাই যখন আমরা ঘরে। তখন পুলিশ সদস্যরা জীবন বাজি রেখে করোনা সংক্রম প্রতিরোধে কাজ করছে। শ্রদ্ধার জায়গাটা হৃদয়ে হয়ে গেলো।
উল্লেখ্য নতুন এক করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এমন এক লড়াইয়ের শুরু হয়েছিল গত বছরের শেষদিনে, ৩১ ডিসেম্বর। চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে।