হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেট :: সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার তিনটি গ্রাম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে স্থানীয়দের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় ‘লকডাউন’ হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) উপজেলার তিনটি গ্রামের কয়েকজন সমাজকর্মীর সাথে মুঠোফোনে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়। তারা জানান গ্রামগুলোর প্রবেশ পথে বাঁশ বেধে ‘লকডাউন’ করে দিয়েছে এলাকার জনসাধারণ ও গ্রামের যুবকরা।
গোলাপগঞ্জের সদর ইউপির চৌঘরী গ্রামের মোকাম মহল্লার কয়েকজন যুবকের উদ্যোগে গ্রামের প্রধান জামে মসজিদের রাস্তার প্রবেশ মুখে বাঁশ বেঁধে ব্যারিকেড দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে গ্রামবাসী। পাশাপাশি এলাকায় জীবাণুনাশক ঔষধ ছিটানো ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানও পরিচালনা করছেন তারা।
চৌঘরী এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার শাহিন জানান, সারাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিলেটও এই থাবা থেকে রক্ষা পায়নি। তাই সকলের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এলাকাবাসী চৌঘরী মোকাম মহল্লা ‘লকডাউন’ করে দিয়েছে।
একই ভাবে ফুলবাড়ী ইউপির হেতিমগঞ্জ গ্রামের প্রবেশপথেও বাঁশ বেঁধে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড বা লকডাউন । এবং গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার দাড়িপাতন গ্রামও সেচ্ছায় লকডাউনে গিয়েছে। গ্রামের প্রবেশ মুখেও কয়েকটি বাঁশ বেঁধে ব্যারিকেড দিয়ে ‘লকডাউন’ লিখে দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে এলাকার যুবসমাজ ও গ্রামবাসী এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তিনটি গ্রামেই বহিরাগত কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছেনা এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে গ্রামের বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছেনা। এমনক বাজারে গেলে ফেরার পথে মহল্লার প্রবেশমুখেই সারা শরীরে জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটিয়ে ভিতরে প্রবেশের নিয়ম চালু করছেন তারা। এলাকার যুবকরা নিজ এলাকাকে নিরাপদ রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর তিনটি গ্রামের লোকজনই যুবসমাজের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমন থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে সচেতন হতে হবে, প্রত্যেক মানুষ নিজ থেকে সচেতন হলে এই রোগ বিস্তার করতে পারবে না। এ ধরনের উদ্যোগ সব এলাকাতে গ্রহণ করা জরুরি বলে তারা মনে করেন।
তিনটি গ্রামের সেচ্ছা লকডাউনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমান বলেন, এভাবে প্রতিটি এলাকার মানুষ সচেতন হলে করোনা সংক্রমণ আমরা রোধ করতে পারবো।
.