গাজীপুর: কারোনা ভাইরাসের সংক্রমনে সৃষ্ট দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে গাজীপুরকে লকডাউন করা হয়নি। তবে গাজীপুরে যানবাহন ও লোক চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহানগর পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। কয়েকটি মিডিয়ায় গাজীপুর লকডাউন হওয়ার প্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, রোগ সংক্রমন ও মৃত্যুর হার ভয়াবহ পরিস্থিতি হলে এবং বিশেষজ্ঞ অর্থাৎ আইইডিসিআর’র নির্দেশনা ছাড়া কোন এলাকা লকডাউন করা যায় না।
পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, কোন ব্যক্তি সংক্রামক রোগ জীবানুতে আক্রান্ত হলে তার বাড়ি বা একটি নির্দিষ্ট এলাকা যে এলাকার লোকজন আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গিয়েছে সেই বাড়ি বা এলাকার লোকজনের চলাচলের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করে লকড করে দেওয়া হয়। যাতে ওই এলাকার লোকজন বাইরে বা অন্য এলাকার লোকজন ওই এলাকায় আসা যাওয়া করতে না পারে এবং অন্যদের সংস্পর্শে যেয়ে রোগজীবানু সংক্রমণের বিস্তার ঘটাতে না পারে। এখনও গাজীপুরে ওই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। তবে নারয়নগঞ্জ ও ঢাকাসহ আশে-পাশে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে আমরা মঙ্গলবার হতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় জরুরি সেবায় যুক্তদের ছাড়া কাউকে প্রবেশ কিংবা বের হওয়াতে শতভাগ ‘কড়াকড়ি আরোপ’ করেছি মাত্র।
এজন্য মহানগরীর ১০টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। উপযুক্ত কারণ ছাড়া গাজীপুর মহানগরীতে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা ও অপরাধ কর্মকান্ড বন্ধে কাজ করছেন তারা। লকডাউনের কথা বলে কাউকে মহানগরীরর নাগরিকদের বিভ্রান্ত না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। লকডাউন করা হলেও আমরাই ঘোষনা দেব।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় যানবাহন প্রবেশ কিংবা বের হওয়াতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে বিশেষজ্ঞদের নির্দেশনামতে লকডাউন করা হবে। এখনও ওই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। তবে গাজীপুরে মঙ্গলবার হতে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কাঁচাবাজার, মুদি দোকানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান খোলা থাকবে। অন্য সকল দোকান-পাট বন্ধ থাকবে। তবে ঔষধের দোকান এ বিধি নিষেধের আওতামুক্ত থাকবে।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ রাসেল জানান, গাজীপুরে জেলার বিভিন্ন স্থানে তারা ৫টি চেক পোস্ট স্থাপন করে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছেন।
সূত্র-জনকণ্ঠ