বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ২৬০ জনে পৌঁছেছে। আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১২ লাখ ৩৭ হাজার ৪২০ জন। সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন ইতালিতে। সেখানে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ৩৬২ জন ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৬৮১ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৩২ জন। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি ও আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে হিসাবে এমন তথ্য উঠে এসেছে। শনিবার ইতালির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটির হাসপাতালগুলোয় আইসিইউতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কমছে।
সেখানে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে। এতে আশা জাগছে। কর্তৃপক্ষ জনগণকে লকডাউন মানতে ব্যাকুল আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন ও ফ্রান্সে তরতর করে বেড়েই চলেছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা ভয়াবহ গতিতে বাড়ছে। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা পর্যন্ত দেশটিতে মারা গেছেন ৯ হাজার ১৩২ জনের বেশি মানুষ। এছাড়া পুরো পৃথিবীর এক-চতুর্থাংশের বেশি আক্রান্ত হয়েছে কেবল সেখানেই। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা গেছে নিউ ইয়র্কে। স্পেনে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৬৭৪ জন। তবে দেশটির স্বাস্থ্যকর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দেশটিতে মৃতের সংখ্যা কমছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, রোববারের মৃতের সংখ্যা গত দুইদিনের তুলনায় কমেছে। এর আগে শুক্রবার দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৯৫০ জন ও শনিবার মারা যান ৮০৯ জন। সবমিলিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৪১৮ জনে। বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একক দেশ হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে দেশটিতে। এছাড়া মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৯ জন। তবে গত কয়দিন ধরে কমছে দৈনিক হারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা অবধি ফ্রান্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ হাজার ৫০০’র বেশি মানুষ। আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ হাজারের বেশি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দেশটিতে রোববারের আক্রান্ত ও মৃতের হিসাব প্রকাশ করা হয়নি। তবে এর আগের দিন দেশটিতে ১০০০ মানুষের বেশি মারা গেছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৮ হাজার। এদিকে, ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে তুলনামূলক মৃত্যুর হার কম জার্মানিতে। কিন্তু আক্রান্তের দিক দিয়ে দেশটি বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ স্থানে আছে। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭ হাজার ৭০০ জনের বেশি। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৫ হাজার ৯৩৬ জন। এ নিয়ে টানা তৃতীয় দিন সেখানে আক্রান্তের সংখ্যায় পতন দেখা গেছে। শনিবারের তুলনায় রোববার সেখানে ১৪৬ জন কম আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। রোববার সেখানে মারা গেছেন ১৮৪ জন। এতে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ হাজার ৩৪২ জনে। তবে ইউরোপের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে রোগী সুস্থ হওয়ার দিকে বেশ এগিয়ে আছে জার্মানি। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি অনুসারে, সেখানে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৬ হাজার ৪০০ জন। তবে সুস্থ হওয়ার দিকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে চীন। ৮২ হাজার আক্রান্তের দেশটিতে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। মারা গেছেন মাত্র ৩ হাজার ৩৩৩ জন। অন্যদিকে ৩৮ হাজারের বেশি সুস্থ রোগী নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে স্পেন।