সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ অনেক সময় মানুষের কিছু ব্যবহার-আচরণ দেখে খুবই অবাক হয়ে যাই। তখন খুবই প্রশ্ন জাগে মনে, এরা কি সত্যিই মানুষ? এতো নির্দয়-হৃদয়হীন, পাষন্ডের পরিচয় দেয় কীভাবে? আপনারা ভাবছেন কেন এটি বললাম? আচ্ছা, চলুন জেনে নিই এর পিছনে লুকায়িত রহস্যময় ঘটনাটি।
টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার চাড়ালজানিতে রাস্তার পাশে কার্টুনের মধ্যে নবজাতকের লাশ পাওয়া গেছে। গতকালকে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর পৌর শহরের টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চাড়ালজানী নামক স্থানে ব্রীজ সংলগ্ন রাস্তার পাশ থেকে ওষুধের কাটুন থেকে একজন নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রতক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার (০৪ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে কেবা কারা একটি যানবাহন থেকে নবজাতক মোড়ানো একটি ওষধের কাটুন ফেলে রেখে গিয়েছিল। তারপরে পথচারী এক পাগল খাদ্যদ্রব্যের কাটুন মনে করে কাটুনটি খুলছিল। অতঃপর নবজাতকের লাশ দেখতে পেয়ে লোকজনকে ইশারায় ডাকাডাকি করলেন। তারা এসে কাটুনে একটি নবজাতকের লাশ দেখতে পায় ।
মধুপুর থানার এসআই সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, “করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টহলরত মধুপুর থানা পুলিশের একটি গাড়ী রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় লোকজনের ভিড় দেখে গাড়ী থামালে একটি ওষুধের কাটুনে নবজাতকের এ লাশটি দেখতে পাওয়া যায়। পরে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত কাজ চলছে।”
এখন আপনারাই বলুন, মানুষের নৈতিকতার কতটা অধঃপতন হলে এমন কাজ করতে পারে তারা? একজন নবজাতক সন্তানকে কীভাবে তারা কার্টুনের মধ্যে রাখতে পারে এবং নবজাতকটি মারা যায় সেখানে। সত্যিই বই পড়ার সময় যখন পড়েছিলাম যে, মানুষ পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট। তার জলন্ত প্রমাণ পেয়ে গেলাম। একজন নবজাতক শিশু সবসময় নিষ্পাপ। তার তো কোনো পাপ নেই। আর ঐসব মানুষ যারা এরকম নিকৃষ্ট জঘন্যতম কাজ করেছে তাদের তো মানুষই বলতে ঘৃণা হচ্ছে। এতো নির্দয়-পাষন্ডের মতো আচরণ না করলেও তো পারতো। এতো যদি ইচ্ছেই না থাকতো সন্তান লালন-পালন না করার, তাহলে এই নবজাতকটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই অন্যকোন পদ্ধতি অবলম্বন করতো। অনেক পদ্ধতিই তো আছে।
যাইহোক, সবশেষে আমি সাইফুল ইসলাম (গ্রামাঞ্চলে থাকি) সবাইকে বলতে চাই আপনারা আর কেউ জীবনে এরকম নিকৃষ্ট, জঘন্যতম কাজ করবেন না। নিজেকে সংশোধনের চেষ্টা করুন এবং মানুষ হয়ে পাষন্ডের পরিচয় দিবেন না