নিউ ইয়র্কে ঘণ্টায় ২৩ জনের মৃত্যু। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি আসা এখনো বাকি : জাতিসঙ্ঘ

Slider জাতীয় টপ নিউজ


ডেস্ক: বিশ্বের সাত মহাদেশের ২০৫ দেশে ছড়িয়ে পড়ে নভেল করোনাভাইরাস দেখিয়ে দিয়েছে কত দ্রুত ভাইরাসটি সীমান্ত পার হতে পারে, দেশ বিধ্বস্ত করে দিতে পারে এবং মানুষের জীবন-জীবিকা কেড়ে নিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও স্পেনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। করোনা মহামারী মোকাবেলায় উন্নত দেশগুলো যেভাবে হিমশিম খাচ্ছে তাতে দরিদ্র দেশগুলো মৃত্যুপুরী হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। করোনার ভয়াল থাবায় প্রাণ গেছে ৬১ হাজার ৬২৮ জনের। আক্রান্ত হয়েছে ১১ লাখ ৫৩ হাজার ১৬ জন। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন দুই লাখ ৪০ হাজার ১২০ জন। আট লাখ ৫১ হাজার ২৬৮ জন চিকিৎসাধীন এবং ৩৯ হাজার ৯৪৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর বিবিসি, আলজাজিরা, ডেইলি মেইল, পার্সটুডে, সিএনএন, রয়টার্স, নিউ ইয়র্ক পোস্ট, এই সময়, সংবাদ প্রতিদিন, টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য জাপান টাইমস, এএফপি, এনডিটিভি, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও ওয়ার্ল্ডওমিটারসের।

সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি আসা এখনো বাকি

জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে গত শুক্রবার জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, করোনার মহামারী এখনো সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে পৌঁছায়নি। সিরিয়া, লিবিয়া ও ইয়েমেনের মতো সঙ্ঘাতকবলিত দেশগুলোতে সংক্রমণ শুরু হলে পরিস্থিতি আরো বিপর্যয়কর হয়ে উঠতে পারে। এমতাবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি। এটি জরুরি প্রয়োজন। ক্যামেরুন, কলম্বিয়া, লিবিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সাউথ সুদান, সুদান, সিরিয়া, ইউক্রেন ও ইয়েমেনের তরফ থেকে যুদ্ধবিরতির আহ্বানে সাড়া দেয়া হয়। তবে ঘোষণা ও কাজে পরিণত করার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে লড়াই আরো তীব্র হয়েছে। করোনা মহামারী মোকাবেলায় দরিদ্র দেশগুলোকে আরো বেশি সহায়তা দিতে উন্নত দেশ এবং বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানান অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

নিউ ইয়র্কে ঘণ্টায় ২৩ জনের প্রাণ নিচ্ছে করোনা

যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারীর কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে নিউ ইয়র্ক। সেখানে ব্যাপক হারে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে কোভিড-১৯। নিউ ইয়র্কে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬২ জন মারা গেছে, প্রতি ঘণ্টার ব্যবধানে মারা গেছে ২৩ জন। নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে তিন হাজার ২১৮ জন মারা গেছে করোনায়। মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ তিন হাজার ৪৭৬ জনে। এ অবস্থায় কোভিড-১৯ মোকাবেলায় অন্যান্য অঙ্গরাজ্য থেকে সহযোগিতা কামনা করেছেন গভর্নর কুমো। অন্তত আরো দুই সপ্তাহ এভাবে মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকবে বলে আশঙ্কা গভর্নরের। যুক্তরাষ্ট্রের মোট মৃত্যুর এক-চতুর্থাংশই নিউ ইয়র্ক শহরের।

চীন থেকে আসা ভ্রমণকারীই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কাল হলো

ট্রাভেল ডেটা বলছে, করোনার দাপটকালীন সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে তিন দশমিক চার মিলিয়ন (৩৪ লাখ) ভ্রমণকারী। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাভেল ডেটা বলছে, ৩১ জানুয়ারি ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার আগে সাত লাখ ৫৯ হাজার ৪৯৩ জন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন চীন থেকে। ইতালি থেকে এসেছে তিন লাখ ৪৩ হাজার ৪০২ জন। আর স্পেন থেকে চার লাখ ১৮ হাজার ৮৪৮ জন। এ সময় ব্রিটেন থেকে এসেছে সবচেয়ে বেশি, ১ দশমিক ৯ মিলিয়ন (১৯ লাখ)। এসব নাগরিকের সবচেয়ে বেশি গেছেন নিউ ইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস ও সিয়াটলের বড় বড় শহরসহ অন্য শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছেন। গোপনে করোনা বহনকারী বিদেশ থেকে আসা এসব নাগরিকই স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ দিকে শুক্রবার এক দিনে যুক্তরাষ্ট্রে এক হাজার তিন শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে; আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৩২ হাজার ২৮৪ জন। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যানের এ তথ্য জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ৭৭ হাজার ৬০৭ জন। এর মধ্যে সাত হাজার ৪০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা নেয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন বারো হাজার ২৮৩ জন। চিকিৎসাধীন দুই লাখ ৫৭ হাজার ৯১৮ জন, তন্মধ্যে পাঁচ হাজার ৭৮৭ রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বেশি মৃত্যুহার ইন্দোনেশিয়ায়

ইন্দোনেশিয়ায় প্রথমবারের মতো গত ২ মার্চ দু’জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। আর তিন এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ৯২ এবং মৃতের সংখ্যা ১৯১ জনে পৌঁছেছে। এ নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি এবং সবচেয়ে বেশি মৃত্যুহারের দেশে পরিণত হয়েছে ইন্দোনেশিয়া। করোনায় শুক্রবার পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মৃত্যুহার ৫.২ শতাংশ আর ইন্দোনেশিয়ায় এই হার ৯.১ শতাংশ। একই সময়ে ফিলিপাইনে এই হার ৪.৫ শতাংশ ও মালয়েশিয়ায় ১.৬ শতাংশ। দেশটিতে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে ১৫০ জন, চিকিৎসাধীন আছে এক হাজার ৭৫১ জন।

ভারতে মার্কিন দূতাবাস কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত

নয়াদিল্লিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের এক কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দূতাবাস থেকে এই কর্মকর্তার আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করা হয়। দেশটিতে প্রতি ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে ২০ জন। দিল্লির নিজামুদ্দিন মার্কাজ মসজিদের তাবলিগ জামাতে যোগ দেয়াদের মধ্যে গত দুই দিনে ৬৪৭ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ওই তাবলিগ জামাতে যোগ দেয়ার ফলে ১৪টি রাজ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ওই জমায়েতে যোগ দেয়া অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে।’ ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ৮২ জন, মৃত্যু হয়েছে ৮৬ জনের। করোনা মোকাবেলা করে ২২৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। চিকিৎসাধীন আছে দুই হাজার ৭৬৭ জন।

ভারতে জুনে ভয়াবহ হবে করোনা

করোনার কারণে ভারতজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। ১৪ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা এ সময়সীমা। লকডাউনে চীনের পরিস্থিতি এবং ভারতের স্বাস্থ্যের পরিকাঠামোর ওপর ভিত্তি করে এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে মার্কিন সংস্থা বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ (বিসিজি) বলেছে, জুনের শেষ সপ্তাহ অথবা সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ভারতে লকডাউন চলতে পারে। ভারতের জনসংখ্যা এবং অনুন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্যই এত তাড়াতাড়ি লকডাউন তুলে নেয়া সম্ভব হবে না। তা অন্তত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড়াবে। জুনের তৃতীয় সপ্তাহে ভারতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

ইতালিতে ১৪ হাজার ৬৮১ জনের মৃত্যু

ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ১৯ হাজার ৮২৭ জন। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৬৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৯ হাজার ৭৫৮ জন। চিকিৎসাধীন থাকা ৮৫ হাজার ৩৮৮ জনের মধ্যে চার হাজার ৬৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ব্রিটেনে প্রথম করোনা হাসপাতাল

করোনার ছোবল আরো ভয়াবহ পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে ব্রিটেনকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার সকালে পূর্ব লন্ডনের এক্সেলে এক্সিবিশন সেন্টারে করোনা রোগীদের জন্য চার হাজার শয্যাবিশিষ্ট অস্থায়ী এনএইচএস নাইটিঙ্গেল হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। প্রিন্স চার্লস ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনা রোগীদের জন্য এ হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য এটিই যুক্তরাজ্যের প্রথম করোনা হাসপাতাল। সামরিক বাহিনীর সহায়তায় এনএইচএসের চিকিৎসকরা এখানে চিকিৎসা প্রদান করবেন। ব্রিটেনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ হাজার ১৬৮ জন। এর মধ্যে তিন হাজার ৬০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৩৫ জন। চিকিৎসাধীন থাকা ৩৪ হাজার ৪২৮ জনের মধ্যে ১৬৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ফ্রান্সে ৬৫০৭ জনের মৃত্যু

ফ্রান্সে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ১৬৫ জন। এর মধ্যে ছয় হাজার ৫০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা নেয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৪ হাজার আটজন। চিকিৎসাধীন আছে ৬১ হাজার ৬৫০ জন, তন্মধ্যে ছয় হাজার ৬৬২ জনের অবস্থা সঙ্কটপূর্ণ।

স্পেনে ১১ হাজার ৭৪৪ জনের মৃত্যু

স্পেনে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ৭৪৪ জন। আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ২৪ হাজার ৭৩৬ জন। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ২১৯ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে। চিকিৎসাধীন ৭৮ হাজার ৭৭৩ জনের মধ্যে ছয় হাজার ৪১৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

চীনে ১৪ জন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু

সবচেয়ে বেশি সুস্থতার হার চীনে। দেশটিতে আক্রান্ত ৮২ হাজার রোগীর মধ্যে প্রায় ৭৭ হাজারই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। চীনে করোনার প্রকোপ মোকাবেলা করতে গিয়ে এ পর্যন্ত ১৪ জন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৮১ হাজার ৬৩৯ জন, মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ৩২৬ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৭৬ হাজার ৭৫৫ জন। ৩৩১ রোগীর অবস্থা সঙ্কটপূর্ণ। চিকিৎসাধীন আছে এক হাজার ৫৫৮ জন।

ইরানের ৩৪৫২ জনের মৃত্যু

ইরানে করোনা সংক্রামিত কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা তিন হাজার ৪৫২ জন। আক্রান্ত হয়েছে ৫৫ হাজার ৭৪৩ জন। আক্রান্ত ১৯ হাজার ৭৩৬ ব্যক্তি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছে। চিকিৎসাধীন আছে ৩২ হাজার ৫৫৫ জন, এর মধ্যে চার হাজার ১০৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জার্মানিতে আক্রান্ত ৯১ হাজার ৫৮৯ জন

জার্মানিতে করোনায় আক্রান্ত ৯১ হাজার ৫৮৯ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৯৩ জনে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ৬৫ হাজার ৭২১ জন, এর মধ্যে ৩৯৩৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২৪ হাজার ৫৭৫ জন।

অস্ট্রেলিয়ায় ৩০ জনের মৃত্যু

অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৫৫০ জন। এর মধ্যে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ৫৮৫ জন। চিকিৎসাধীন থাকা চার হাজার ৯৩৫ জনের মধ্যে ৮৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পাকিস্তানে ৪১ জনের মৃত্যু

পাকিস্তানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৪১ জন। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই হাজার ৭০৮ জন। চিকিৎসা নেয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৩০ জন। ১৩ রোগীর অবস্থা সঙ্কটপূর্ণ। চিকিৎসাধীন আছে দুই হাজার ৫৩৭ জন।

রাশিয়ায় ৪৩ জনের মৃত্যু

রাশিয়ায়ও কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ৭৩১ জন, মারা গেছে ৩৪ জন আর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে ৩৩৩ জন। চিকিৎসাধীন আছে চার হাজার ৩৫৫ জন, এর মধ্যে আটজনের অবস্থা সঙ্কটপূর্ণ।

লকডাউন টহলে পুলিশ রোবট মোতায়েন তিউনিসিয়ায়

করোনা মোকাবেলায় দেশজুড়ে লকডাউনের দ্বিতীয় সপ্তাহ চলছে দেশটিতে। দেশটির রাজধানী তিউনিসের জনগণ ঠিকমতো পালন করছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করতে পুলিশ রোবট মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু খাবার ও ওষুধ ছাড়া অন্যান্য পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ১৮ জন এবং ৪৯৫ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

কানাডায় বাইরে গেলেই ৫ লাখ টাকা জরিমানা

কানাডার বেশির ভাগ শহরে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা কম হলেও আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২০৮ জন। কানাডার প্রতিটি শহরে জরুরি আইন জারি করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মানুষ বাইরে বের হলেই ছয় হাজার ডলার (প্রায় ৫ লাখ টাকা) জরিমানার ঘোষণা করা হয়েছে।

সৌদি আরবে ২৯ জনের মৃত্যু

সৌদি আরবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৯ জন। আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ১৭৯ জন। ৪২০ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। চিকিৎসাধীন থাকা এক হাজার ৭৩০ জনের মধ্যে ৪১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সিঙ্গাপুরে এক মাসের লকডাউন

করোনার বিস্তার ঠেকাতে কেবল জরুরি সেবা ছাড়া স্কুলসহ বেশির ভাগ অফিস-আদালত এক মাসের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিঙ্গাপুর। আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে এ লকডাউন। স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে অনলাইন ক্লাস চলবে ৮ এপ্রিল বুধবার থেকে। গত শুক্রবার এক ঘোষণায় এ কথা জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং। লোকজনকে এ সময়ে বাড়িতে থাকা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সিঙ্গাপুরে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক হাজার ১১৪ জন। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ২৮২ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ৮২৬ জন করোনা রোগী এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, এর মধ্যে ২৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

কেনিয়ায় লকডাউন ভাঙায় পুলিশের পিটুনিতে নিহত ৫

আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় এ পর্যন্ত করোনার চেয়ে পুলিশের পিটুনিতেই বেশি মানুষ মারা গেছে। শনিবার পর্যন্ত কেনিয়াতে মহামারী করোনায় মারা গেছে চারজন। এ দিকে গত ২ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশের পিটুনিতে প্রাণ হারিয়েছে পাঁচজন। এক সাংবাদিকও পুলিশের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। এমনকি পরিবারের সাথে বারান্দায় বসে থাকা ১৩ বছরের এক কিশোর প্রাণ হারিয়েছে পুলিশের গুলিতে।

লেবাননে ১৭ জনের মৃত্যু

লেবানন ৫০৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৯৭ শতাংশ লেবানিজ এবং ৩ শতাংশ শরণার্থী। ৪৪১ জন করোনা রোগী এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, এর মধ্যে ২৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আরব আমিরাতে ৯ জনের মৃত্যু

সংযুক্ত আরব আমিরাতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ২৬৪ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৯ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০৮ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন এক হাজার ১৪৭ জন, তন্মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নিউজিল্যান্ডে আক্রান্ত ৯৫০ জন

দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৯৫০ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে একজন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে ১২৭ জন। চিকিৎসাধীন আছে ৮২২ জন, তন্মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

কাতারে আক্রান্ত ১,০৭৫ জন

করোনায় আক্রান্ত হয়ে কাতারে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৭৫ জন। ৯৩ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসাধীন ৯৭৯ জন।

ফিলিপাইনে আক্রান্ত ৩,০৯৪ জন

ফিলিপাইনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ৯৪ জন। মারা গেছে ১৪৪ জন। ৫৭ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে। চিকিৎসাধীন দুই হাজার ৮৯৩ জনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ব্রাজিলে আক্রান্ত ৯,২১৬ জন

ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ২১৬ জন। মারা গেছে ৩৬৫ জন। ১২৭ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে। চিকিৎসাধীন আট হাজার ৭২৪ জনের মধ্যে ২৯৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মালয়েশিয়ায় আক্রান্ত তিন হাজার ৩৩৩ : মালয়েশিয়ায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ৩৩৩ জন। মারা গেছে ৫৩ জন। ৮২৭ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে। চিকিৎসাধীন দুই হাজার ৪৫৩ জনের মধ্যে ১০৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

তুরস্কে আক্রান্ত ২০ হাজার ৯২১ জন

তুরস্কে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২০ হাজার ৯২১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৪২৫ জন মারা গেছে। এ ছাড়া সুস্থ হয়েছে ৪৮৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে এক হাজার ২৫১ জনের অবস্থা গুরুতর। চিকিৎসাধীন আছে ২০ হাজার ১২ জন।

ইসরাইলে গোঁড়া ইহুদিদের এলাকায় মারাত্মক হানা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ইসরাইলের একটি শহরকে লকডাউন করা হয়েছে, যেখানে গোঁড়া ইহুদিরা বসবাস করে। ইসরাইলের মধ্যে এ শহরটিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হয়েছে। যে শহরটিকে লকডাউন করা হয়েছে সেটির নাম বেনি ব্রাক এবং এটি তেল আবিব শহরের উপকণ্ঠে। বেনি ব্রাক শহরে দুই লাখ মানুষ বসবাস করে। এদের মধ্যে ৪০ শতাংশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আশংকা করছেন। ইসরাইলে করোনায় আক্রান্ত সাত হাজার ৫৮৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৪২ জন মারা গেছে। এ ছাড়া সুস্থ হয়েছে ৪২৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ২৯৬ জনের অবস্থা গুরুতর। চিকিৎসাধীন আছে সাত হাজার ১২০ জন।

সুইজারল্যান্ডে ৬০৪ জনের মৃত্যু

সুইজারল্যান্ডে আক্রান্ত হয়েছে ১৯ হাজার ৭০২ জন, মৃত্যু হয়েছে ৬০৪ জনের এবং চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে ৪৮৪৬ জন। চিকিৎসাধীন আছে ১৪ হাজার ২৫২ জন, তন্মধ্যে ৩৪৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নেদারল্যান্ডসে ১,৪৮৭ জনের মৃত্যু নেদারল্যান্ডসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ৭২৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৪৮৭ জনের এবং সুস্থ হয়েছে ২৫০ জন। এক হাজার ৩২৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসাধীন আছে ১৩ হাজার ৯৮৬ জন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৭৭ জনের মৃত্যু : দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনায় আক্রান্ত ১০ হাজার ১৫৬ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৭৭ জনের এবং সুস্থ হয়েছে ছয় হাজার ৩২৫ জন। ৫৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসাধীন আছেন তিন হাজার ৬৫৪ জন।

নাইজেরিয়ায় লকডাউন না মানায় গুলি করে হত্যা

করোনার ভয়াল গ্রাসে পড়েছে আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়াও। এ কারণে দেশটিতে ঘোষণা করা হয় লকডাউন। সরকার থেকে এর কড়াকড়ির ব্যাপারে জানানো হয় নাগরিকদের। কিন্তু এর মাঝেও বাড়ি থেকে বের হওয়ায় এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নাইজেরিয়ার দক্ষিণের রাজ্য ডেলটার ওয়ারি শহরে স্থানীয় বাসিন্দা জোসেফ পেসুকে গুলি করে হত্যা করে সেনা সদস্যরা। করোনার কারণে সেখানে লকডাউন চলছিল। ওই সেনাদল এলাকাটিতে লকডাউন কার্যকরে নিয়োজিত ছিল। শুক্রবার ওই সেনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির পুলিশ। দেশটিতে ২১০ জন করোনা আক্রান্ত এবং চার জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৮১ জন চিকিৎসাধীন আছে। ২৫ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে।

সিএনএনের উপস্থাপিকা করোনায় আক্রান্ত

করোনাভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছেন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের উপস্থাপিকা ব্রুক বাল্ডউইন। গত শুক্রবার ইনস্টাগ্রাম নিজের অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ খবর জানান তিনি। শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তিনি টেস্ট করেন। রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এর আগে, সিনএনএনের আরেক উপস্থাপকের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তার নাম ক্রিস কুয়োমো।

চীনে করোনায় ৫০ হাজার লোকের মৃত্যু

চীনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৫০ হাজার লোক মারা গেছে। দেশটি মৃত ও আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিষয়ে প্রকৃত তথ্য দেয়নি। এই দাবি করে ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উহানের হানকাউ নামের একটি শ্মশানে প্রতিদিন ১৯ ঘণ্টা ধরে লাশ সৎকার হয়েছে। মাত্র দুই দিনে সেখানে ৫ হাজার ব্যক্তির লাশ পোড়ানো হয়। গত ২৩ মার্চ থেকে লাশ সৎকার শেষে উহানে লাশের ছাই ভরা ৩ হাজার ৫০০ কলস ফিরে এসেছে প্রতিদিন। এই হিসেবে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ১২ দিনে উহানে ৪২ হাজার ব্যক্তির মৃত্যুর তথ্য রয়েছে। চীন সরকার করোনাভাইরাসের কারণে মৃত্যুর যে সংখ্যা দিয়েছে, তা উহানে মৃত্যুর সংখ্যা থেকে ১৬ গুণ বেশি। উহানে ৮৮টি চুল্লিতে দিনরাত লাশ পোড়ানো হয়েছে। সেখানে সব মিলিয়ে ৪৮ হাজার ৮০০ ব্যক্তিকে পোড়ানো হয়েছে।

দিল্লির বিভিন্ন মসজিদে ৮ শতাধিক বিদেশী

দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজ তাবলিগ জামাত থেকে গত সপ্তাহে দুই হাজার ৩০০ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়। তদন্তে উঠে আসে দেশটির রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে বিদেশী নাগরিকরা অবস্থান করছেন। মাত্র চার দিনের মাথায় পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী ও সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত টিম দিল্লির বেশ কয়েকটি মসজিদ থেকে আট শতাধিক বিদেশী নাগরিককে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে। যারা নিজামুদ্দিনে আয়োজিত তাবলিগের সাথে সম্পর্কিত। তবে এখনো অনেক মসজিদ বাকি রয়ে গেছে।

লাশ দাফনের স্থান সঙ্কট নিউ ইয়র্কে

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিউ ইয়র্কে মৃত্যুর মিছিল ক্রমশ বেড়ে চলেছে। হাসপাতালগুলোতে এখন সারি সারি লাশ। তবে এসব লাফ দাফনের জন্য ফিউনারেল হাউজের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া লাশ বহনের জন্য গাড়ির সঙ্কট দেখা দেয়ায় হাসপাতাল থেকে লাশ দিতেও বেশ দেরি হচ্ছে। ফিউনারেল এবং গাড়ির ব্যবস্থা হলে হাসপাতাল থেকে সিরিয়াল অনুযায়ী লাশ দাফন বা শেষকৃত্যের জন্য ছাড়া হচ্ছে।
লন্ডনের হাসপাতালে অক্সিজেন সঙ্কটের আশঙ্কা : লন্ডনের একটি হাসপাতালে অক্সিজেনের মজুত প্রায় শেষের দিকে। চাহিদার তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় এমনটা হয়েছে। এই অবস্থায় মারাত্মক অক্সিজেন সঙ্কটে ভুগছেন ওই হাসপাতালের করোনা রোগীরা। অক্সিজেন পাইপের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে সঙ্কটাপন্ন করোনা আক্রান্ত রোগীদের বাঁচিয়ে রাখা কষ্টকর হয়ে যাবে। আট হাজার ভেন্টিলেটর মেশিন রোগীদের সেবায় ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ আগামী মে মাসে জটিল রূপ ধারণ করতে পারে কোভিড-১৯। ওই সময় দেশটিতে প্রয়োজনে হবে ৯৩ হাজার ভেন্টিলেটর।

তরুণদের করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে : ডব্লিউএইচও
তরুণদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কর্মকর্তারা এসব কথা জানিয়েছেন। ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞ ডা: মারিয়া ভ্যান কেরকোভ বলেন, ‘এই মুহূর্তেও অনেক কিছুই অজানা। সামগ্রিকভাবে যারা মারা গেছেন তারা মারাত্মক রোগে ভুগছিলেন এবং আইসিইউতে বয়স্কদের মৃত্যু হচ্ছিল। কিন্তু কয়েকটি দেশে আমরা দেখতে পেয়েছি ৩০, ৪০ বা ৫০ এর কোঠায় থাকা ব্যক্তিরাও আইসিইউতে মারা গেছেন। আমরা দেখতে পাচ্ছি আরো বেশি তরুণ, যারা মারাত্মক রোগে আক্রান্ত না হয়েও মারা যাচ্ছেন’।

ভয়াবহ হতে পারে বৈশ্বিক আর্থিক মন্দা : আইএমএফ
করোনায় প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছে হাজারো মানুষ। সঙ্কটকালীন সময় পার করছে বিশ্ব। এরই মধ্যে করোনাপরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। করোনার কারণে ২০০৮-০৯ সালের চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে বৈশ্বিক আর্থিক মন্দা। এমনটাই বলছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা আইএমএফ। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা আইএমএফর ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলছেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে আগে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ২০০৮ সালের চেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতি মানবজাতির জন্য কালো অধ্যায় বয়ে নিয়ে আসছে, পুরো বিশ্বের জন্য এটি অনেক বড় হুমকি। সবাই এক হয়ে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। করোনার কারণে অর্থনৈতিক মন্দা কমাতে বিশ্ব ব্যাংক ও অন্যান্য অর্থনৈতিক সংস্থার সাথে কাজ করে যাচ্ছে আইএমএফ। এরই মধ্যে এক ট্রিলিয়ন ডলার চেকের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

ফ্রান্সের ছয় শতাধিক সেনা করোনায় আক্রান্ত : ফ্রান্সের ছয় শত সেনা সদস্য মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি গতকাল শনিবার এক ঘোষণায় এই তথ্য জানান। তিনি বলেছেন, ‘পরিস্থিতি দিন দিন আরো বিস্তার লাভ করছে এবং আমরা তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। তবে আমাদের সামরিক বাহিনীর কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়েনি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *