জেনে নিন পিপিই নিয়ে কিছু তথ্য

Slider জাতীয় বাংলার মুখোমুখি


পিপিই বর্তমানে আলোচিত একটি শব্দ। নিম্নে পিপিই সম্পর্কেই কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো।

পিপিই-এর পূর্ণ রূপ হলো ‘পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট’। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম। যদি কোনো ব্যক্তি এমন কোনো জায়গায় কাজ করেন; যেখানে তার সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাহলে তার জন্য পিপিই আবশ্যক।
পিপিই-তে পাঁচটি উপকরণ থাকা উচিত। এগুলো হলো-১. জুতার কভারসহ গাউন। ২. গ্লাভস। ৩. মুখের আবরণ (ফেস শিল্ড)। ৪. চোখ ঢাকার জন্য মুখের সাথে লেগে থাকে এমন চশমা বা গগলস। ৫. মাস্ক।

১৭ শতকে ইউরোপে প্লেগ (মহামারী) দেখা দেয়। তখন ডাক্তাররা পিপিই হিসেবে অদ্ভুত রকমের একটি পোশাক পরতেন। ধারণা করা হয়, পোশাকটি ফরাসি চিকিৎসক চার্লস ডি’লরমি আবিষ্কার করেছিলেন।

সে সময়ে ডাক্তাররা যে পিপিই পরতেন, তার মধ্যে ছিল একটি লম্বা কোট, যার বাইরের আবরণে মোমের প্রলেপ দেওয়া হতো। এছাড়া তারা ছাগলের চামড়ার তৈরি হ্যাট আর গ্লাভস পরতেন, চোখে থাকত চশমা। হাতে থাকত একটি লাঠি, পায়ে বুট জুতা। হাতের লাঠি দিয়ে দূর থেকেই রোগীদের শরীরে কাজ করতেন।

১৭ শতকে পিপিই আবিষ্কার হলেও বর্তমান যুগে এসেও তার অবদান রেখে চলেছে।

পিপিই বানানোর উপকরণ

পিপিই ঠিক কোন কাপড়ের তৈরি হতে হবে, এমন কোনো সুনির্দিষ্ট ধারণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এনএইচএস-এর পক্ষ থেকে দেয়া হয়নি। কিন্তু এনএইচএস বলছে, পিপিই তৈরিতে এমন কাপড় ব্যবহার করতে হবে, যা কোনভাবেই তরল শুষে নেবে না।

এটা এমন পদার্থে তৈরি হওয়া উচিৎ, যাতে তা কোনো ধরণের তরলকে ধারণ না করে এবং সেটা গড়িয়ে পড়ে যায়। অর্থাৎ পিপিই-কে সম্পূর্ণ শুষ্ক রাখবে, এমন পদার্থ ব্যবহার করাটাই এখানে গুরুত্বপূর্ণ।

এখানে আরো যে বিষয়টির দিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, তা হলো পিপিই নিয়মিত পরিবর্তন করা।

একজন রোগীর একটি নির্দিষ্ট কাজের পরই পিপিই পরিবর্তন করার উপদেশ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এটি যাতে অতি অবশ্যই একবার ব্যবহার করে ফেলে দেয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *