ঢাকা: রোহিঙ্গা সমস্যা ও চলমান করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গাজীপুর সিটি মেয়র এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর মহানগরের মাঝে আর সীমাবদ্ধ নেই। তিনি এখন বাংলাদেশের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। ২০১৮ সালে আওয়ামীলীগ প্রধান শেখ হাসিনা গাজীপুর সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা দিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে বলেছিলেন, আমি একটি চারা গাছ রোপন করলাম। আজ বাংলাদেশের দুটি বড় সমস্যার মধ্যে একটি বিশ্বমহামারী। এই দুটি সমস্যা শুধু জাতীয় নয়, আন্তর্জাতিক সমস্যা। এই দুটি সমস্যায় পাশে দাঁড়ানোর কারণে গাজীপুরের গন্ডি পেরিয়ে তিনি এধন দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশের পাশে। গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম এখন বাংলাদেশের পাশে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ যখন রোহঙ্গিাদের আশ্রয় দেয়, তখন সকল মানুষকে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহবান জানান। সেই আহবানে সাড়া দিয়ে গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম কক্সবাজারে রোহঙ্গিাদের নিকট যায় এবং ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেন। বর্তমান বিশ্বমহামারী হিসেবে দানবের মত দাঁড়িয়েছে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাস ইতোমধ্যে বিশ্বকে প্রায় ঘরবন্দি করে ফেলেছে। প্রতিদিন মারা যাচ্ছে মানুষ। মানবতা যেখানে থমকে দাঁড়িয়েছে আর সেখানে বিশ্বও আজ অসহায় হয়ে গেছে। পৃথীবি সৃষ্টির পর এত বড় মহামারী হয়েছে কি না, তা এখনো স্পষ্ট করে কেউ বলতে পারেন না। এই অবস্থায়, বিশ্ব বিবেক আজ দিশেহারা। বাংলাদেশ আত্মরক্ষার জন্য ২৬ মার্চ থেকে লকডাউনে আছে। আপাতত বুঝা যায়, এই লকডাউন ১১ এপ্রিল পর্যন্ত চলতে পারে। এই আপদকালীন সময়ে ঘরবন্দি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্বের সকল সরকার প্রধানের মত বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রীও ঘোষনা দিয়েছেন। সমাজের বিত্তবানদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নিদের্শ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আর এই ডাকেই সাড়া দিয়ে গাজীপুর সিটি মেয়র কাজ করছেন। তার কাজের মাধ্যমে সেবার পরিধি এখন অনেকদূর গড়িয়েছে। গাজীপুর মহানগর, গাজীপুর জেলা, রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল এবং বিভিন্ন মিডিয়া হাউজেও তিনি করোনা মোকাবেলায় সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করছেন। তিনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটকেও সুরক্ষা সামগ্রী দিচ্ছেন। একই সঙ্গে নাটোরের জনগনের জন্য ওই এলাকার সাংসদ ও প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের অনুরোধে সুরক্ষা সামগ্রী পাঠিয়েছেন গাজীপুর সিটি মেয়র।
এদিকে গাজীপুর সিটির নাগরিকদের জন্য খাদ্য সামগ্রী, চিকিৎসার ব্যবস্থা, ও জনগনকে সুরক্ষার যাবতীয় সুরক্ষা সামগ্রীও বিতরণ করছেন তিনি। ভ্রাম্যমান এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও করেছেন মেয়র। নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্নস্থানে ৫ হাজার পানি ট্যাংকও বসিয়েছেন তিনি। আপাতত ৫০ হাজার পরিবারকে দিচ্ছেন নিয়মিত খাদ্য সরবরাহ। এর আগে জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনি শিক্ষবৃত্তি চালু করেন। এই বৃত্তির পরিধি হবে প্রায় একশ কোটি টাকা। সম্প্রতি তিনি গাজীপুর মহানগরের রাস্তাঘাট উন্নয়ন, সংস্কার ও নতুন রাস্তা নির্মান কাজ চালোন পুরোদমে।
জিসিসি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ইতোমধ্যে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীতে গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারী হাসপাতালে পৃষ্টপোষকতা দিয়ে তিনি করোনা রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। সরবরাহ দিয়েছেন কিট ও অন্যান্য প্রায়েজনীয় সরঞ্জাম। দিয়েছেন নগদ টাকাও। গাজীপুর জেলার বেসরকারী হাসপাতালেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী দিয়েছেন মেয়র।
গাজীপুরের মানুষ মনে করেন, স্বাভাবিকভাবে গাজীপুর সিটি মেয়র গাজীপুর সিটির জন্য কাজ করবেন। কিন্তু তিনি তার দলের প্রধানের আহবানে সাড়া দিয়ে গাজীপুরই শুধু নয়, দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশের পাশেই।
