মোহাম্মদ আল-মাসুম মোল্লা: করোনার এই দিনগুলোতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। কিন্তু, মানসিক দূরত্ব?
সেটা আরও নিবিড় করুন। মানসিকভাবে সংযুক্ত থাকুন, শারীরিক দূরত্ব যাই হোক। কথা বলুন, আলোচনা করুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা ফোনে যুক্ত থাকুন আপনার পরিচিত জনের সঙ্গে।
মানুষের সঙ্গে কথা বললেও, আপনি ভালো বোধ করবেন। আপনি আশ্বস্ত হবেন যে আপনি একা নন, আপনার সঙ্গে অন্যরাও আছেন। এটা আপনাকে মানসিক শান্তি দিবে, দিবে স্বস্তি, দিবে মানসিক শক্তি, বলছিলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার।
তিনি বলেন, ‘করোনার এ দিনগুলোতে অপ্রিয় হলেও সত্য যে করোনা আমাদেরকে পরিবারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সময় কাটানোর সুযোগ করে দিয়েছে। যান্ত্রিক জীবনে মানুষ পেয়েছে অখণ্ড অবসর।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এই অফুরন্ত সময় খুব ভালোভাবে কাটাতে পারি, যদি একটু পরিকল্পনা করি। আমরা বাসায় বসে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে লুডুসহ পারিবারিক অন্যান্য খেলা খেলতে পারি।’
ডা. মেখলা বলেন, ‘আমরা বাচ্চাদের সেইভাবে সময় দিতে পারিনা। এই সুযোগে বাচ্চাদের আমরা আরও বেশি সময় দিতে পারি।’
‘তবে, আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা যেন শুধু করোনা নিয়ে পড়ে না থাকি। কারণ, বেশি বেশি করোনার মধ্যে ডুবে থাকলে আমরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারি। আমাদের শরীরে দেখা দিতে পারে নানান ধরনের উপসর্গ। শ্বাসকষ্ট, শরীর গরম গরম ভাব, গলা ব্যথা হওয়ার মতো অনুভূতি। এই সব উপসর্গ করোনার উপসর্গের সঙ্গে মিলে যেতে পারে। তাই আতঙ্কিত হওয়া যাবে না’, বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘দিনের নির্দিষ্ট সময় ছাড়া আমরা যেনো করোনা সংক্রান্ত সংবাদ না পড়ি। নিজেকে আশ্বস্ত করতে হবে যে একটা খারাপ সময় যাচ্ছে, কিন্তু, সামনে ভালো সময় অপেক্ষা করছে।’
পরিবারের সবাইকে নিয়ে যেনো ভালো সিনেমা দেখে বা বই পড়ে আমরা আমাদের সময়টাকে আনন্দে উপভোগ করতে পারি, মনে করেন এই মানসিক বিশেষজ্ঞ।
সুত্র : দ্য ডেইলি স্টার
এন এ/ ২৮ মার্চ