তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনাভাইরাসে সৃষ্ট বৈশ্বিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকার ও গণমাধ্যম ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।
তিনি বলেন,‘ করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটময় মুহূর্তে সরকার ও গণমাধ্যম ঐকবদ্ধভাবে কাজ করবে এবং একই সঙ্গে গণমাধ্যমে এই সংকটের কারণে যে অভ্যন্তরীণ সমস্যা তৈরি হয়েছে তা নিরসনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’
ড. হাছান আজ দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের সরকারী বাসভবনে, নোয়াব, এটকো, এডিটরস গিল্ড ও সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে এ কথা বলেন।
বৈঠকে সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম, সাধারণ সম্পাদক নঈম নিজাম, এটকোর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, সদস্য ইকবাল সোবহান চৌধুরী, নেয়াবের সভাপতি একে আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মতিউর রহমান ও তারিক সুজাত উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই বৈশ্বিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাব। নানা ধরনের গুজব রটানো হচ্ছে। কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল থেকে নানা ধরনের ভূয়া খবর পরিবেশন করা হচ্ছে, মানুষকে আতংকিত করার জন্য অনেক সংবাদ পরিবেশন করা হয়।
তিনি বলেন, এসবের বিরুদ্ধে মুলধারার মিডিয়াগুলো ভূমিকা রাখতে পারে, রাখছে, আরো কিভাবে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়েও তারা কাজ করবে। যারা এ ধরনের কাজ করছে তাদের চিহ্নিত করে সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। এজন্য আমরা মুলধারার মিডিয়ার সহায়তা চেয়েছি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা একমত হয়েছি এই সময় জনগণকে মোটেই আতংকিত করা ঠিক নয়। বরং জনগণকে সতর্ক করা প্রয়োজন। এই সংকটময় মুহূর্তে আমাদের, সরকারের কী করা দরকার তা নিয়েও আলোচনা করেছি।একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, এই সংকটকালীন মুহূর্তে সংবাদপত্র ও টেলিভিশনেও নানা ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে। অনেক সংবাদপত্রের সার্কুলেশন কমে গেছে, কোনটার অর্ধেকে নেমে গেছে, তার চেয়েও কমে গেছে।
সংবাদপত্রের হকাররা নানা ধরনের সমস্যায় পড়েছে। সংবাদপত্রে যারা কাজ করে অনেক কর্মচারী আছে দিনে এনে দিন খায়, তারাও সংকটে আছে। টেলিভিশনেও একই ধরনের সংকট আছে। এই সকল সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছি। বিশেষ করে যে বিলগুলো আছে তা যেন সরকার তাড়াতাড়ি ছাড় করতে পারে সে বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
(বাসস)