গাজীপুর: করোনা সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করে বলতে হবে রোগী কি করোনায় আক্রান্ত কি না। আর সেটা জানার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে কিট ব্যবহার করার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত দিতে হবে, রোগীর করোনা হয়েছে কি না। অথচ গাজীপুর সিটি মেয়র বেশ কয়েক হাজার কিট এনেছেন। কিন্তু তার গাজীপুরে কিট ব্যবহার করে করোনা রোগী সনাক্তের ব্যবস্থা করলেন না। এটা নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে।
সকলের দাবী, গাজীপুরে করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা জরুরী। কারণ গাজীপুর সিটি মেয়র, একমাত্র ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিশেষ বিমান যোগে হাজার হাজার কিট এনেছেন। যদি এই কিট গাজীপুরবাসীর কাজেই না আসে তবে মেয়রের পরিশ্রম ও অর্থ কোন কাজে আসবে না। কারণ আগে নিজে বাঁচুন পরে অন্যকে বাঁচান। নিজে না বেঁচে অন্যকে বাঁচানো যায় না।
প্রসঙ্গত: জ্বর-কাশি ও গলাব্যথা নিয়ে এক যুবক গত তিনি ধরে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন। চিঠি দেওয়ার পরও ওই যুবকের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য আসেনি আইইডিসিআর টিম। এ নিয়ে হাসপাতালের সাধারণ রোগী ও চিকিৎসকদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা উৎকণ্ঠা।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সর্দি-ঠাণ্ডা, হাঁচি-কাশি, জ্বর ও গলাব্যথা নিয়ে ওই যুবক (২৫) গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হন। তার নমুনা সংগ্রহের জন্য ঢাকার আইইডিসিআরে দুই দফা চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু রবিবার বিকেল পর্যন্ত তারা নমুনা সংগ্রহ করতে আসেনি কেউ।
তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান জানান, ওই যুবকের বাড়ি জেলার শ্রীপুরে। তার সর্দি, কাশি ও গলাব্যথার সমস্যা জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন এ হাসপাতালে পাঠানোর পর তাকে আইসোলশন ইউনিটে রাখা আছে। তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন। তারপরও আমরা আইইডিসিআরে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়েছি। আজ টেলিফোনে আইডিসিআরের টিমের সাথে কথা হয়েছে। তাদের আসার কথা রয়েছে। তাদের সারা দেশে যেতে হচ্ছে বিধায় আসতে একটু দেরি হচ্ছে। আতঙ্কিত বা উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ তার শরীরে নেই।
এদিকে গাজীপুরে ৪৭ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান জানান। তিনি বলেন, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ১৪৯৬ জনের মধ্য থেকে ৫৫৮ জনকে বাড়ির যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, জিসিসির মেয়র এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম ২০ হাজারের উপরে কিট এনেছেন। চিকিৎসা সামগ্রীও এনেছেন অনেক। তাহলে তার সিটিতে অবস্থিত শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও কিট ব্যবহারের অনুমতি নেই কেন! একই সঙ্গে গাজীপুরের কোন হাসপাতালে যদি করোনা রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসাও না হয়, তবে এত সরঞ্জাম দিয়ে কি হবে? তাহলে এ গুলো নিলো কারা?