করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সংক্রমন রুখতে তৎপর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার ব্যারাকপুরের পুলিশ প্রশাসন। জানা যায়, সবসময়ই সেখানকার দায়িত্বরত পুলিশরা তৎপরতার সঙ্গে লকডাউন পরিস্থিতিতে সাধারন মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ এই সময় বাড়ির বাইরে না বের হয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, দুঃস্থ অসহায় নাগরিকরা খাবারের খোঁজে যেন অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি না করে। গরীব মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে প্রশাসনকে। লকডাউন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে ঘরেই থাকতে হবে।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে সাধারণ মানুষ যাতে বাঁচতে পারে, সে কারণে এবার ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের অন্তর্গত নোয়াপাড়া থানার পুলিশ গারুলিয়া পৌরসভা এলাকার গঙ্গা তীরবর্তী ২০ নম্বর ওয়ার্ডের দরিদ্র মৎস্যজীবীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজেরা হাতে করে চাল, ডাল, আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, টাটকা কাঁচা সব ধরনের সবজি এবং বাজার প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে গিয়ে দিয়ে আসেন।
পুলিশ প্রশাসনের এই মানবিক উদ্যোগে ভীষণ খুশী গারুলিয়া পৌরসভা এলাকার সাধারণ দরিদ্র দিনে এনে দিনে খাওয়া মানুষেরা। নোয়াপাড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর সুমিত বৈদ্য পুলিশের এই মানবিক উদ্যোগ সম্পর্কে স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ” করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় সংক্রমন রুখতে আমাদের সকলেরই রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনে চলা উচিত। লকডাউন পরিস্থিতিতে কেউ যাতে বাড়ির বাইরে না বেরিয়ে আসে, সে কারণেই আমরা নিজেরা দরিদ্র মানুষদের বাড়ি বাড়ি খাদ্য দ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছি।
এই প্রক্রিয়া আগামীদিনেও চলবে। আমরা সকলে মিলে নিশ্চই করোনা মোকাবেলায় জয়ী হবো।”
গারুলিয়া পৈরসভা এলাকার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের শতাধিক বাড়িতে শনিবার নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য ও সবজি বাজার পৌঁছে দেন নোয়াপাড়া থানার পুলিশ কর্মীরা। সেই সঙ্গে তারা সকলের কাছে অনুরোধ করেছেন যাতে লকডাউন চলাকালীন সময়ে কেউ অযথা বাড়ির বাইরে না বেরিয়ে পড়েন, দরকার হলে পুলিশকে ফোন করলে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসহায় দুঃস্থ মানুষদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
কলকাতা ২৪x৭ অবলম্বনে।