টেকনাফ (কক্সবাজার): টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা, ২টি অস্ত্র, ৩ রাউন্ড কার্তুজ ও একটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে লেদা ছুরিখাল উপকূলে মিয়ানমার থেকে মাদক পাচারকালে এ ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফয়সল হাসান খাঁন (পিএসসি) জানান, হ্নীলা ইউনিয়ন লেদা নাফনদী সংলগ্ন ছুরিখাল এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে নাফনদী দিয়ে বাংলাদেশে আসছে এমন গোপন সংবাদে রাত ১০ টার দিকে বিজিবির টহলদল ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। এরপর অন্ধকারের মধ্যে ৪-৫ জন লোক একটি নৌকা নিয়ে নাফনদী পার হয়ে ছুরিখাল এলাকায় প্রবেশ করতে দেখে বিজিবি তাদের চ্যালেঞ্জ করে। কিন্তু মাদক কারবারীরা বিজিবির উপস্থিতি বুঝতে পেরে নৌকা থেকে লাফ দিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবি তাদের ধাওয়া দেয়।
এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে পাচারকারী দল।
এতে বিজিবি তিন সদস্য আহত হন। বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। উভয়পক্ষের মধ্যে প্রায় ৫-৬ মিনিট গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থল থেকে বিজিবি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাতনামা তিন যুবককে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই হাসপাততালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা মুল্যের ১ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা, দেশীয় তৈরী ২টি বন্দুক, ৩ রাউন্ড কার্তুজ, ১টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করে।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফয়সল হাসান খাঁন আরও জানান, বিজিবির সাথে গোলাগুলিতে নিহত হওয়া তিন ব্যাক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি। করোনা ভাইরাস নিয়ে যখন সারাদেশের মানুষ আতংকের মধ্যে রয়েছে তখন মাদক পাচারে জড়িত অপরাধীরা নির্ভয়ে তাদের অপকর্ম অব্যাহত রাখার জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো।