আমতলী(বরগুনা): বরগুনা জেলার আমতলী থানার ওসি তদন্ত মনোরঞ্জন মিস্ত্রীর কক্ষ থেকে হত্যা মামলার সন্দেহ ভাজন এক আসামির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সকালে ওসি তদন্ত মনোরঞ্জন মিস্ত্রীর কক্ষের সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। যদিও পুলিশ দাবি করেছে, আটক সানু হাওলাদার আত্মহত্যা করেছেন। তবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই কক্ষে রাখা হয়েছিল। আমতলী থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, সানু হাওলাদারকে ২৫ মার্চ আটকের পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওসি তদন্ত মনোরঞ্জনের রুমে রাখা হয়। রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কিছু ক্লু পাওয়া যায়।
২৬ মার্চ সকালে থানার সেন্ট্রি মামুন ৫ টা ৫৬ মিনিটে বাথরুমে নিয়ে যায়। এরপর ফিরে এসে সানু দরজা বন্ধ করে দেয়। ৬ টা ১০ মিনিটে তার দরজা বন্ধ দেখে ধাক্কাধাকি করে খুলে সানু হাওলাদারের ঝুলন্ত লাশ দেখা যায়।
সানু হাওলাদার আমতলীর কলাগাছিয়ার হযরত আলী হাওলাদারের পূত্র। কিছুদিন পূর্বে ইব্রাহীম নামের এক ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করা হয় ধানক্ষেত থেকে। ওই মামলায় এজাহারভুক্ত কোন আসামী না থাকলেও পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে সানু হাওলাদারকে আটক করে।
বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন আমতলী থানায় বসে সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় ওসি তদন্ত মনোরঞ্জন মিস্ত্রী ও দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার এএস আই আরিফ কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।