জানাগেছে, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের বগুড়া শহরতলীর ঝোপগাড়ি এলাকায় একটি ট্রাকে আগুন দেয় দূর্বৃত্তরা। এ ছাড়াও রাত ১২টার দিকে মহাসড়কের বাঘোপাড়া এলাকায় আরো একটি কাভার্ড ভ্যানে আগুন দেয়া হয়। ভোররাতে চারমাথা এলাকায় মুক্তি বিড়ি ফ্যাক্টরির সামনে একটি ট্রাকে আগুন দেয়া হয়। রাতে শহরের কৈগাড়ি এলাকায় একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় আগুন দেয় দূর্বৃত্তরা।
শুক্রবার রাতভর বগুড়া শহরের চারপাশ দিয়ে যাওয়া মহাসড়ক ও দ্বিতীয় বাইপাস সড়কে অসংখ্য যানবাহন ভাংচুর করা হয়েছে। এসব রাস্তায় ভাংগা কাঁচের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। যমুনা সেতুর পশ্চিম পাশ থেকে শুরু করে বগুড়া সদরের মহাস্থানগড় পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ পাহারায় চলা যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ভাংচুর করা হয়। সেই সাথে মহাসড়কে রাস্তার ওপর লোহার তৈরি বিশেষ ধরনের কাঁটা বিছিয়ে দেওয়ার ফলে অসংখ্য যানবাহনের চাকা ফুটো হয়েছে বলে জানাগেছে। রাতে মহাসড়কে অবরোধকারীদের কঠোর অবস্থানের কারনে অবশেষে পুলিশ পাহারায় শুরু হওয়া যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়ারিশ রাতে মহাসড়কে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন।