কলকাতা: গোটা ভারতে লকডাউন বলবৎ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে গোটা ভারতে লকডাউন করার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ২১ দিন এটি বলবৎ থাকবে। ভারতে করোনা সংক্রমণের ঘটনা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার ভারতীয সময় রাত আটটায় দ্বিতীয়বার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস এত দ্রুত হারে বাড়ছে, যে সবরকম ব্যবস্থা সত্ত্বেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না বিশ্বের শক্তিশালী দেশও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বৈশ্বিক মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার একটাই উপায়, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। করোনার থেকে বাঁচার আর কোনও উপায় নেই।
দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে মোদি বলেন, কিছু মানুষ ভাবছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা শুধুমাত্র আক্রান্তদের জন্যই প্রয়োজন। এই ধারণা ভুল।
প্রত্যেক পরিবারের জন্য এই এটা প্রয়োজন। তিনি বলেছেন, লকডাউন মানার ক্ষেত্রে দায়িত্বহীনতা চলতে থাকলে, ভারতকে এর চরম মূল্য চোকাতে হবে। কী ক্ষতি হবে তা অনুমানও করতে পারবেন না। তাঁর মতে, কিছু মানুষের ভুল সিদ্ধান্তের ফলে বহু মানুষের জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে। গত রবিবার জনতা কারফিউ সাফল্যের সঙ্গে পালন করার বিষয়টি উল্লেখ করে মোদী বলেন, ভারতবাসী দেখিয়েছে যখন দেশ এবং মানবতার উপর সঙ্কট আসে, তখন কীভাবে একজোট হয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়। এর আগে গত বৃহস্পতিবারও তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছিলেন। তখনই রবিবার জনতা কার্ফুর কথা ঘোষণা দিয়েছিলেন মোদি। পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লিসহ সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্রের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। ভারতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ৫০০ পেরিয়ে গেছে। মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এদিকে পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ দিন দুপুরেই বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানে আয়কর রিটার্নে জমা দেয়ার সময়সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি, ব্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে।