মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তাদের দেশে মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট পাঠানোর জন্য আমাদের কাছে অনুরোধ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারী আকার নিয়েছে। প্রত্যেক দেশেই করোনাভাইরাস সংক্রান্ত মেডিক্যাল ইকুইপমেন্টের চাহিদা খুব বেড়েছে। কয়েকটি দেশ তাদের দেশে এই মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট দেওয়ার জন্য আমাদের অনুরোধ করেছে। এমনকি স্বয়ং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তাদের দেশে পাঠানোর জন্য আমাদের কাছে অনুরোধ করেছে। আমাদের ব্যবসায়িক মহল তাদের অনুরোধ বিবেচনা করছে। সৌভাগ্যের বিষয় এই যে, আমাদের দেশে অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এগুলো তৈরির কাজে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতার দিন অর্থাৎ ২৬ মার্চ চীন সরকার তাদের প্রতিশ্রুত দশ হাজার টেস্টিং কিট এবং দশ হাজার প্রটেকটিভ গাউন এবং এক হাজার ইনফ্রারেড থার্মোমিটার আমাদের গিফটের সাথে হস্তান্তর করবে। এবং দুই দিন পর আরো ১৫ হাজার এন ৯৫ মাস্ক হস্তান্তর করবে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরীক্ষায় বাংলাদেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক ‘টেস্ট কিট’ নেই। সম্প্রতি বসরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ চীনের কাছে টেস্ট কিটসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম সহায়তা চায়। পরদিন চীন এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। চীন করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ইতালিসহ অন্যান্য দেশকেও সহায়তা করছে। এরই অংশ হিসেবে আগামী ২৬ মার্চ টেস্ট কিট ও পিপিই চীন থেকে ঢাকায় আসছে।