ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই সময়ে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। তার বয়স বিবেচনায় মানবিক কারণে সরকার সদয় হয়ে সাজা স্থগিত করেছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। মন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার ১ উপধারা মোতাবেক দুই শর্তে তার সাজা স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাকে মুক্তি দেয়ার বিষয়ে এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে। তবে বাংলাদেশেই তার বাসা থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন কিন্তু বিদেশে যেতে পারবনে না।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছয়মাসের জন্য তার সাজা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুইটি শর্তে তাকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। সেগুলো হলো, এই সময়ে তার ঢাকায় নিজের বাসায় থাকতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। এর আগে বিদেশে চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছিল তার পরিবার।
খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বিবিসিকে বলেছিলেন, তারা তাদের চিঠিতে প্যারোলের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু লেখেননি।
একইসাথে তিনি উল্লেখ করেছেন, এখন তাঁর বোনের জীবন বাঁচাতে চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেয়া হলেও তাদের পরিবারের সদস্যদের কোনো আপত্তি থাকবে না।
তবে পরিবারের অন্য একটি সূত্র এবং সরকারি সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের চিঠিতে মানবিক কারণে সরকারের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়া হয়েছে।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া। তার মধ্যে গত ১১মাস ধরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
২০০৮ সালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মামলা দায়ের হয়।
দশ বছর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারীতে মামলার রায়ে তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। তবে পরে হাইকোর্ট সেই সাজা বাড়িয়ে দশ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন