করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বৃটেন ছাড়া ইউরোপের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন ঢাকায় থাকা ইউরোপীয় ইউনিয়ন জোটের প্রতিনিধিরা। তারা এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। জানতে চেয়েছেন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে থাকা ইউরোপীয় কূটনীতিক, তাদের পরিবার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭ রাষ্ট্রের নাগরিকদের ঢাকা থেকে বের হওয়ার ব্যবস্থা কি অবশিষ্ট থাকলো? তারা এ-ও জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশে কোনো কূটনীতিক করোনা আক্রান্ত হলে তাদের চিকিৎসায় বিশেষ কোন ব্যবস্থা আছে কি-না?
সরকারের তরফে তাৎক্ষণিক জানানো হয়েছে, ফ্লাইট পুরোপুরি বন্ধ নয়। যুক্তরাজ্য, চীন, থাইল্যান্ড ও হংকং- চারটি রুট চালু রাখা হচ্ছে, বিশেষ প্রয়োজনে লোকজনের যাতায়াতের বিষয়টি বিবেচনায়। ইউরোপীয় কূটনীতিক ও নাগরিকরা ওই রুট ব্যবহার করে নিজ নিজ দেশ বা তাদের পছন্দের গন্তব্যে যেতে পারেন।
দ্বিতীয়ত: তারা একসঙ্গে যেতে চাইলে সবাই মিলে একটি বিমান ভাড়া করতে পারেন। সেই চাটার্ড ফ্লাইটে তারা যেতে পারেন। বাংলাদেশ তাদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরণের সহায়তা দেবে।
তৃতীয়ত: তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট (খালি) আগামী ২৪ শে মার্চ ঢাকা আসছে। তাতেও ইউরোপীয় কূটনীতিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা ফিরতে পারেন। তালিকা দিলে ঢাকা তুরস্কের সঙ্গে কথা বলবে কিংবা তারা নিজেরাও যোগাযোগ করে ফিরতে পারেন। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই জবাব পাওয়ার পরও ইউরোপীয় কূটনীতিক এবং জাপানের ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক চেয়েছেন। আজ বা কাল ওই বৈঠকটি হতে পারে। সেটি করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত হওয়ায় করোনা সেলের প্রধান অতিরিক্ত সচিব ডা. খলিলুর রহমানের সঙ্গে বৈঠকটি হতে পারে বলে আভাস মিলেছে। এ বিষয়ে জানতে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্বেগ সংক্রান্ত চিঠি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের জবাব দেয়ার বিষয়টিও জানান। বলেন, আমরা তাদের দুটি অপশন দিয়েছি। তারা চার রুটের যে কোন রুটে ফিরতে পারেন। নতুবা নিজেরা চাটার্ড ফ্লাইট নিয়ে আসতে পারে। তবে তার্কিশ ফ্লাইট ঢাকায় আসার বিষয়ে মন্ত্রী কিছু জানে না বলে জানান।