পুলিশ সুপারের সাংবাদিক সম্মেলন অবরোধে বড় ধরণের নাশকতার নসাৎ

গ্রাম বাংলা

DSC00927

গাজীপুর: বিশ্ব ইজতেমা ও অবরোধ চলাকালে গাজীপুর সদর থেকে আটক ১২ শিবির কমী অবরোধে বড় ধরণের নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। বিশ্ব ইজতেমায় হামলা বা নাশকতার পরিকল্পনা নয়। সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোঃ হারুনর রশীদ।

শুক্রবার(৯জানুয়ারী) রাত সাড়ে ৭টায় গাজীপুর পুলিশ সুপার কাযালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তিনি ওই তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ১২জনকে আটক করা হয়। তাদের নিকট থেকে মানবতাবিরোধী মামলায় আটক জামায়াত নেতৃবৃন্ধের মুক্তি দাবি করে তৈরী বিভিন্ন ধরণের ব্যানার, লিফলেট, জিহাদী বই, শিবির কমী সংগ্রহের রশীদ, চাঁদা আদায়ের রশিদ, সরকার বিরোধী লিফলেট ও ৫ ককটেল উদ্ধার হয়। এ বিষয়ে মামলা হচ্ছে। ব্যাপক জিঞ্জাসাবাদ শেষে পরিকল্পনা সম্পকে বিস্তারিত জানা যাবে।

অভিযানে আটক শিবির কমীরা হলেন, ইসলামী ছাত্র শিবিরের গাজীপুর মহানগর বাসন সাংগঠনিক থানার সভাপতি মো. মুজাহিদ (২৫), শিবির কর্মী জহিরুল ইসলাম জুয়েল (২৪), আব্দুল ওয়াহিদ (২৩), নূরুল আমীন (২২), সারোয়ার (১৮), আনোয়ার (২০), সোহেল মাহমুদ (১৭), মশিউর (২৪), সাহাদাৎ (১৮), শামিম রেজা (১৭), রফিকুল (২১) ও সাজেদুল (২২)।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত থাকার সময় আটক শিবির কমীদৈর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ বা জিএমপি গঠন এখনো হয়নি। কিন্তু জামায়াতে ইসলাম মহানগর কাযালয় স্থাপন করে জিএমপির নক্সা অনুসারে মহানগরকে ১০টি ভাগে ভাগ করে ১০টি সাংগঠনিক থানা ঘোষনা করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে মহানগরের নলজানী এলাকায় অবস্থিত গ্রেট ওয়াল সিটি নামক বাড়ি থেকে হাত বোমা, লিফলেট,ব্যানার ও বিভিন্ন ধরণের জেহাদী বই সহ ১২জনকে আটক করে পুলিশ। গ্রেট ওয়াল সিটি ছিল জামায়াতে ইসলামীর গাজীপুর মহানগর কাযালয়। আর পুলিশ ওই কাযালয়েই অভিযান করেছে। এসময় তারা সাংগঠনিক সভা করতে ছিলেন।

জানা যায়, গাজীপুর শহরের শিবাবড়ি এলাকায় জেলা জামায়াতের কাযালয় পুলিশের নজরে থাকায় গোপনে মহানগর কাযালয় স্থাপন করে সাংগঠনিক কাজ চালাচ্ছিল জামায়াতে ইসলাম। গাজীপুর মহানগর জামায়াত কাযালয় গ্রেট ওয়াল সিটির মালিক জনৈক ওয়ালউল্লাহ। তিনি সৌদি আরবে বসবাস করেন।

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *