গাজীপুর: গাজীপুর শহরে গতকাল যে পিঁয়াজের দাম ছিল ৩৫ টাকা কেজি, আজ তা ৮০ টাকা। এই ভাবে প্রায় সকল দ্রব্য মূল্যের দাম বেড়ে চলছে। একই সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও করোনা মোকাবেলার সামগ্রীর দামও বাড়ছে। এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী করোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে নিয়মিত ডাকাতি করছেন তারা। এরই মধ্যে টঙ্গীতে ব্যবহৃত মাস্ক বিক্রির সময় গ্রেফতার হয়েছেন কয়েকজন। এই অবস্থায় গাজীপুর মহানগরের মানুষ মেয়রের নিকট জিনিস পত্রের দাম নিয়ন্ত্রনে ষাঁড়াশী অভিযান দাবী করছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, জিসিসির মেয়র আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ইতোমধ্যে শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছেন দ্রব্য মূল্যের বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য। কিন্তু তারা মেয়রের কথা শুনেনি। বরং দাম আরো দ্বিগুন বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই অবস্থায় সাধারণ নাগরিকদের দাবী, যত দ্রুত সম্ভব, ষাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে মূল্য নিয়ন্ত্রন করতে হবে। না হয়, করোনা ভাইসের কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থায় দিশেহারা মানুষ কারণে অকারণে ঝগাড় বিবাদ সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে বলে আশংকা থাকতে পারে।
একাধিক সূত্রের দাবী, জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত ছাড়াও সিটিকরপোরেশনের ভ্রাম্যমান আদালত এবং ভুক্তা অধিকারের আওতায়ও একই ধরণের আদালত পরিচালনা করা উচিত।
প্রসঙ্গত: করোনা পরিস্থিতির কারণে গাজীপুর বিভিন্ন কারণেই গুরুত্বপূর্ন হয়ে যাচ্ছে। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বিদেশ থেকে আসা মানুষ গাজীপুর জেলায় ঘুরাফেরা করছেন। একই সঙ্গে গাজীপুর মহানগরের মেঘডুবিতে কোয়ারেন্টিনে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে থাকা রোগীরা অবস্থান করছেন। সবশেষ টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে বিশাল আকারে কোয়ারেন্টিন স্থাপনের ঘোষনা দেয়ার পর গাজীপুর ঝুঁকির দিকে যাচ্ছে। একই সঙ্গে শিল্প প্রতিষ্ঠান চালু থাকায় বিরাট অংকের মানুষ গাজীপুরে অবস্থান করছেন। ফলে গাজীপুরে বসবাসরত নাগরিকদের নিত্যদিনের চাহিদার সঙ্গে যোগ হতে পারে অতিরিক্ত লোকদের চাহিদা, যা ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে গাজীপুরের। তাই এখনই দ্রব্য মূল্যের দাম নিয়ন্ত্রন করতে না পারলে ভবিষৎ কঠিন সমস্যা হতে পারে।