আমরা বিশ্বাস করি সম্মিলিত প্রয়াসের করোনা ভাইরাস পরাজিত করবো। করোনা যত বড়ই শত্রু হোক না কেন। আমরা এই ভাইরাসকে পরাজিত করতে পারবো বলে আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহনও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানে সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান ওবায়দুল কাদের। শ্রদ্ধানিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে ঝুঁকিতে আছে। অতএব আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি এখনো হয়নি। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১৮ জন আক্রান্ত হয়েছে, একজন মারা গেছে। তারপরেও ঝুঁকিতে আছে । এটা পেন্ডিঠিক।
করোনা ভাইরাস সারাবিশ্বে একটি সমস্যা। চীন থেকে উৎপন্ন হয় সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এটা এখন বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এ ভাইরাস থেকে আমরা মুক্ত হতে পারব যে সেটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছি। আমরা বিশ্বাস করি সম্মিলিত প্রয়াসের করোনা ভাইরাস যত বড়ই শত্রু হোক না কেন আমরা এই ভাইরাসকে পরাজিত করতে পারবো।
বিএনপি নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছেন উপনির্বাচন পেছানো জন্য সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা কখন কি বলে, আর কখন কি করে বোঝা মুশকিল। তারা সব কিছুতেই রাজনীতি খোঁজে। কিন্তু উপনির্বাচনের বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। তারা যদি নির্বাচন পেছাতে চায় এটা তাদের বিষয়। তাদের নিজস্ব স্বাধীনতা আছে তারা সিদ্ধান্ত নেবে। ইসিকে আওয়ামী লীগ নিয়ন্ত্রণ করে না। তাদের নিজস্ব স্বাধীনতা আছে,তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। নির্বাচন পিছানোর জন্য আবেদন করেছেন সেটা গ্রহণযোগ্য হবে কিনা তা আমি জানিনা।
সরকার করোনা ভাইরাস এর মধ্যে বিএনপির উপর নির্যাতন বন্ধ করেনি বিএনপির নেতাদের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির উপর কিভাবে, কোন নির্যাতন করলো তা তো দেখিনা, তা তো জানিনা। অযথাই অভিযোগ দেওয়া তাদের পুরনো অভ্যাস। বিএনপি অভ্যাসের কারণে এই অভিযোগ করে থাকে।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ছিলেন একজন বরেণ্য সাহসী রাজনীতিবিদ।যিনি স্বাধীনতার মহান যুদ্ধেও ভূমিকা রেখেছেন। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। দলের সংকটের সময় একজন সাহসী রাজনীতিবিদের ভূমিকায় ছিলেন তিনি। দলের সংকটের সময় সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে দলকে পরিচালিত করেছেন। বিশেষ করে আমাদের দলের সভাপতি শেখ হাসিনা যখন কারাগারে ছিলেন, তখন তিনি যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন এটা অবিস্মরণীয়। দলের দুঃসময়ে, সংকটের সময় তিনি ছিলেন ঐক্যে প্রতীক। তখন তার বয়স ছিলো অনেক বেশি। বয়স বেশি থাকার পরও সেই বয়সের বাধা অতিক্রম করে দলের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখেছিলেন দলের সংকটের সময়। জিল্লুর রহমান ছিলেন দলের অনুপ্রেরণা অনুপ্রেরণার উৎস