দিল্লিতে চলন্ত বাসে মেডিকেল পড়ুয়া ছাত্রীকে নির্যাতন, গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত চারজনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে আজ দিল্লির স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে পাঁচটায়। এর দু’ঘন্টারও কম সময় আগে আসামীদের চূড়ান্ত আবেদন প্রত্যাখ্যান করে সুপ্রিম কোর্ট। এখন থেকে সাত বছর আগে ধর্ষণের ওই ঘটনা পুরো ভারতকে আন্দোলিত করে। এর ফলে আইন পরিবর্তন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড করা হয়। ঘটনার দিন ওই ছাত্রী তার বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে রাতের বেলা বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু তার বন্ধুর সামনে তাকে অপরাধীরা ধর্ষণ করে এবং পরে রাস্তার পাশে ফেলে যায়। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়া হয়। পাঠানো হয় সিঙ্গাপুরে।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনা নির্ভয়া নামে পরিচিতি পায়।
এ অপরাধে যাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে তারা হলো অক্ষয় ঠাকুর (৩১),পবন গুপ্ত (২৫), বিনয় শর্মা (২৬) ও মুকেশ সিং (৩২)। ফাঁসি কার্যকর করা হয় দিল্লির তিহার জেলে। এর আগে শেষ কয়েক ঘন্টা তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা সেলে রাখা হয়। ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চার অভিযুক্তকে একই সময়ে ফাঁসি দেয়া হয়। কর্মকর্তারা বলেছেন, এ রাতে তারা কোন কিছু খেতে অস্বীকৃতি জানায় এবং রাতের বেশির ভাগ সময়ই জেগে ছিল। গত রাত থেকেই পুরো জেল ছিল লকডাউন। অভিযুক্তদের ভোর সাড়ে তিনটায় জাগিয়ে দেয়া হয়। তাদেরকে বলে দেয়া হয়, তাদের সময় শেষ হয়ে গেছে। এর আগে কয়েক দফা ডামি ফাঁসি চর্চা করেন জল্লাদ পবন জল্লাদ। ওদিকে ফাঁসি কার্যকরের খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ধর্ষিত ও নিহত ছাত্রীর মা আশা দেবী।