করোনাভাইরাস নিয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো পর্যাপ্ত নয় বলে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন,‘গতকাল সিলেটের সাবেক মেয়র বদরুদ্দিন চৌধুরী কামরান লন্ডন থেকে ফিরে এসেই আওয়ামী লীগের সভায় যোগ দিয়েছেন। তাকে তো অর্থদণ্ড দেননি, তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেননি। তাকে তো হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য আপনারা বলেননি। বিমান থেকে নেমেই তিনি আওয়ামী লীগের সভায় অংশগ্রহণ করেছেন। আর এই যে ব্যবস্থা এটা একটা বেপরোয়া স্বৈরাচারী ব্যবস্থা। বুধবার (১৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরীর লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণের পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
করোনা ভাইরাস নিয়ে জনসচেতনতায় সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে রিজভী বলেন,‘করোনা প্রতিরোধে গৃহীত ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। আমরা নানাভাবে দেখছি এই করোনা প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেই তার ওপরও চলছে সরকারের নির্যাতন। এই মুহূর্তে করোনা নিয়ে বড় পদক্ষেপ না নিলে করোনা বাংলাদেশ মহামারী আকার ধারণ করবে এবং কত মানুষ যে মৃত্যুবরণ করবে তার কোনো আকার নেই।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন,‘অনেকে বিদেশ থেকে এসেছেন, তাদেরকে বলা হচ্ছে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য। গ্রামে-গঞ্জে অনেকে বের হচ্ছেন কিন্তু তাদেরকে বুঝাতে হবে যে আপনাদের বাড়িতে থাকতে হবে। আমরা দেখি সরকার সেই ব্যবস্থা না নিয়ে নির্যাতন করছেন। এমনকি অর্থদণ্ড দিচ্ছেন। যাদেরকে সন্দেহ করা হচ্ছে যাদের মধ্যে উপসর্গ আছে অথবা নেই, যারা বিদেশ থেকে ফিরেছেন। তারা ঘুরে বেড়ালেও তাদের অর্থদণ্ড দিচ্ছেন। তার মানে গৃহীত ব্যবস্থা তেমন নেই, সরকার পদক্ষেপও নিচ্ছেন না। করোনা মোকাবেলা করার কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়। আমরা যেটা দেখছি সরকার ইচ্ছে করে মানুষকে ধরতে মন্ত্রতন্ত্র দিচ্ছেন।
তিনি বলেন,‘এটা জবাবদিহিতায় বিশ্বাসী কোনো সরকারের বৈশিষ্ট্য নয়। আজকে যদি গণতন্ত্র থাকতো জবাবদিহিতা থাকতো তাহলে এই নিষ্ঠুরতা তারা করতে পারতেন না। এই ভাইরাস মোকাবেলা করার কোনো পদক্ষেপ সরকারের নাই। প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে তারপরও সরকারের তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
এসময় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, কেন্দ্রীয় নেতা সরদার নুরুজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।