ডেস্ক: করোনা ভাইরাস মহামারির প্রেক্ষিতে আগামী ৩০ দিন সীমান্ত বন্ধ করে দিতে একমত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। এ সময়ের মধ্যে বেশির ভাগ বিদেশীর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এমন উদ্যোগে বিপুল সমর্থন আছে বলে দাবি করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন। তিনি বলেছেন, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের কর্মকর্তারা এই প্রস্তাব উত্থাপন করার পর তাতে বিপুল সমর্থন দিয়েছে সদস্য রাষ্ট্রগুলো। এখন তা বাস্তবায়ন করা হবে। অবিলম্বে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এ উদ্যোগের সঙ্গে যোগ দিতে আয়ারল্যান্ডসহ বৃটেনকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। মঙ্গলবার বৃটেনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৬ থেকে ৭১ এ পৌঁছে যায়।
ইউরোপে করোনা ভাইরাসের এপিসেন্টার বা উৎপত্তিস্থল বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে ইতালিকে। সেখানে মঙ্গলবার একদিনে মারা গেছেন ৩৪৫ জন। সব মিলে সেখানে মৃতের মোট সংখ্যা ২৫০৩। এমন ভয়াবহতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার রাতে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোর নেতারা একমত হন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিতে। এতে বলা হয়েছে, অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজন ছাড়া বেশির ভাগ বিদেশীর ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশ এক মাস পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ নির্দেশ কার্যকর হবে তাৎক্ষণিকভাবে।
এমন উদ্যোগে যোগ দিতে বৃটেন এবং আয়ারল্যান্ডের কাছে আমন্ত্রণ পাঠানো হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। কারণ, বৃটেন এখন আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে নেই। ওদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্বদিকে রয়েছে বেলারুশ, মলদোভা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের সীমান্ত। তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মধ্যাঞ্চলে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। তার সীমান্তও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ২৭ জাতির সংগঠন ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের বহির্দেশের সঙ্গে সীমান্ত অবিলম্বে বন্ধ করে দিতে একমত হয়। একই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে আটকা পড়া নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে সহযোগিতা করতে একমত হয়েছেন নেতারা। সিদ্ধান্তের পর পরই পূর্ব দিকে বেলারুশ, মলদোভা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে ইইউ। পশ্চিমে সুইজারল্যান্ড এবং আন্দোরার সঙ্গে সীমান্তও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে আলবেনিয়া, বসনিয়া, সার্বিয়া ও তুরস্ক। এসব সীমান্তও বন্ধ করে দেয়ার কথা। এমন অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভিতরে প্রচ- যানজটের সৃষ্টি হয়। কারণ, পণ্যবাহী লরিগুলো প্রতিবেশী দেশগুলোতে প্রবেশের জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। লিথুয়ানিয়ান-পোলিশ সীমান্তে এমন প্রায় ৪০ মাইল দীর্ঘ যানজট দেখা গেছে। জার্মানি, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি-অস্ট্রিয়াতেও একই রকম যানজট দেখা গেছে।