ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল): টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার পূনর্বাসন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। রোববার দিবাগত রাতে শিক্ষার্থীর বাবা বাদি হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে ভূঞাপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলার পলশিয়া গ্রামের আ. হামেদের ছেলে রানা বাবু (১৬) ও একই গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে জাকারিয়াকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিত ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে উপজেলার পলশিয়া গ্রামের রানা বাবু বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সময় প্রায় উত্যক্ত করাসহ প্রেমের প্রস্তাব দিত। এতে প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয় রানা বাবু। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৯ই মার্চ রাতে প্রকৃতির ডাকে ওই শিক্ষার্থী ঘর থেকে বের হলে উপজেলার পলশিয়া গ্রামের রানা বাবুসহ সংঘবদ্ধ চারজন মিলে জোরপূর্বক তাকে পার্শ্ববর্তী সিরাজকান্দি গ্রামে নিয়ে যায়। পরে সেখানে রানা বাবু ও তার বন্ধু জীবনের সহযোগিতায় উপজেলার ৪নং পুর্নবাসন গ্রামের বাদশার ছেলে সুজন ও পলশিয়া গ্রামের খালেকের ছেলে জাকারিয়া মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের পর বিষয়টি কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। পরে ধর্ষণের বিষয়টি তার পরিবারের কাছে জানায় মেয়েটি। গেলো রাতে শিক্ষার্থীর বাবা বাদি হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে ভূঞাপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে, রানা বাবু ও জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটক রানা বাবু ও জাকারিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রাশিদুল ইসলাম জানান, ধর্ষিত মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটক দুই জনকে সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।