হঠাৎ করেই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের নিরাপত্তা জোরদার

Slider টপ নিউজ

99911_vip
ঢাকা: দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি-নেতাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে বলে সরকারের কাছে গোয়েন্দা প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। সেজন্য সরকারের বিশেষ বিশেষ ব্যাক্তিদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তবে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টিকে তাদের নিয়মিত কাজের অংশ বলেই দাবি করেছেন।

জানা গেছে, ৫ জানুয়ারি ঘিরে হঠাৎ করেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এ দিন কালো পতাকা মিছিল বের করে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালনের কথা ছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের। অন্যদিকে দিবসটিকে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস আখ্যা দিয়ে দেশব্যাপি আনন্দ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দিয়েছিল সরকারপক্ষ। কিন্তু কর্মসূচী পালনের ওপর নিষেধাঙ্গা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক কার্যালয়ে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। প্রতিবাদে লাগাতার অবরোধের ডাক দেন বেগম খালেদা জিয়া। অবরোধকে কেন্দ্র করে গত তিন দিনে সারা দেশে ব্যাপক ভাঙচুরসহ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতা এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিরাও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছেন বলে সরকারের একাধিক গোয়েন্দা রিপোর্ট দেয়। একই সাথে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারেরও পরামর্শ দেয়া হয় রিপোর্টে।

গোয়েন্দাদের এমন প্রতিবেদনের পর প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ এসব নেতাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। অনেকের বাসাবাড়ির চারিদিকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের চলাফেরার ওপরও কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করে প্রয়োজনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রহরা নিয়ে বাইরে বের হতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, গত বুধবার হঠাৎ করেই প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শ.ম রেজাউল করিম এবং যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি অধ্যাপিকা অপু উকিলসহ অনেকের বাসায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়। হঠাৎ এ ধরণের ব্যবস্থার কথা জানতে চাওয়া হলে তাদের ওপর সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কার কথা জানায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কেউ কেউ আবার জঙ্গি হামলার আশঙ্কার কথাও শোনান তাদের। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেকে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যাপিকা অপু উকিল এ প্রতিবেদককে বলেন, বুধবার বিকেলে হঠাৎ বাসায় ফিরে দেখি পুলিশ সদস্যরা বাসা ঘিরে আছে। কারণ, জানতে চাইলে আমার নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা জানানো হয়। আমাকে কোথাও বের হলে তাদের প্রহরায় যাবার পরামর্শও দেয়া হয়। আজও তারা আমার বাসার আশপাশে অবস্থান করছেন। এর বেশী কিছু আর জানিনা।

তবে এ ব্যাপারে ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। আর শ.ম রেজাউল করিমের মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

জানতে চাইলে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক  বলেন, রাজনীতিক, আমলা, আইনজীবী, ব্যবসায়িসহ বিশেষ বিশেষ গরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা সব সময় সতর্ক। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে আরো সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। এটি আমাদের নিয়মিত কাজের অংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *