ডিসি কুড়িগ্রাম: ২০১৮ সালে বদলী হলেও প্রত্যাহার হয়েছিল আদেশ

Slider জাতীয় টপ নিউজ রংপুর


কুড়িগ্রাম: সাংবাদিককে গভীর রাতে বাড়ি থেকে তুলে এনে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন, উলঙ্গ করে ভিডিও ধারণ এবং এনকাউন্টার করার চেষ্টার পর সাজা দেয়ার ঘটনার জন্য দায়ী আলোচিত ডিসি সুলাতানা পারভীনকে ২০১৮ সালে বদলী করা হলেও বদলীর আদেশ প্রত্যাহার হয়েছিল। আর তখন মিষ্টি বিতরণ করে জেলাবাসাী আনন্দ করেছিলেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল গণমাধ্যমে। আর আজ সাংবাদিক নির্যাতন করে প্রত্যাহার হলেন তিনি।

২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর একটি প্রভাবশালী জাতীয় দৈনিকে মিষ্টি বিতরণের খবর পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো।

কুড়িগ্রামে ডিসির বদলির আদেশ বাতিল, মিষ্টি বিতরণ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের বদলির আদেশ প্রত্যাহার করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলাবাসী। এ আনন্দের সংবাদে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে তারা একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে খুশিতে মেতে ওঠেন।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৬১৩ জন কর্মকর্তাকে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিভিন্ন জায়গায় বদলির আদেশ দেন।

এর মধ্যে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীনকে উপসচিব হিসেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বদলির আদেশ প্রদান করেন। রোববার সেই আদেশ বাতিল করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনকে কুড়িগ্রামে স্বপদে বহাল রাখার খবরে মিষ্টি বিতরণ করেছে জেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। অল্পদিনেই কুড়িগ্রামে বিভিন্ন ইতিবাচক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মধ্য দিয়ে তিনি সবার মন জয় করেন। হঠাৎ করে তার বদলির আদেশে প্রতিবাদে ফেটে পরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। আদেশ প্রত্যাহারের জন্য মানববন্ধন কর্মসূচি দেয়া হয় বিভিন্ন জায়গায়।

রোববার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দেওয়ান মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশটি হাতে পেলে স্বস্থি ফিরে আসে কুড়িগ্রামের মানুষের মধ্যে।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামের সিনিয়র সিটিজেন এবং জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি একেএম সামিউল হক নান্টু বলেন, অভিনন্দন জেলা প্রশাসক মহোদয়কে তাকে স্বপদে বহাল রাখার জন্য। কুড়িগ্রামের উন্নয়নে তিনি অবশ্যই তার স্বপ্নকুঁড়ি’র মধ্যদিয়ে কুড়িগ্রামকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু জানান, সদাশয় সরকার কুড়িগ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে যোগ্য ব্যক্তিকে পুনর্বহাল করেছে। এতে কুড়িগ্রামের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। কুড়িগ্রাম মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু জানান, একমাত্র ডিসি যিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে কুড়িগ্রামের ডিসি হিসেবে স্বপদে বহাল রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *