টঙ্গী: অবশেষে রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হলো শিল্প শহর টঙ্গীতে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব জমিতে গড়ে ওঠা বস্তি উচ্ছেদ করে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। গত বছর পুরান ঢাকার চকবাজারের ব্যস্ততম এলাকা চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর কেমিক্যালের গোডাউন টঙ্গীতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন গতকাল শনিবার রাজউকের টঙ্গী শিল্প জোনের কাঁঠালদিয়া এলাকায় মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব জমিতে এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান মো: রইছ উদ্দিন, প্রকল্পটির পরিচালক মো: মনিরুজ্জামান খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শিল্প সচিব আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, এখানে অত্যাধুনিক গুদাম হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত বা গৃহহীন না হয় যথা সম্ভব তা সমাধান করেই আমরা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করব।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার শিল্পবান্ধব সরকার। শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে আমরা জননিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। এর ধারাবাহিকতায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের (বিএসইসি) মাধ্যমে রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলো।
তিনি আরো বলেন, এখানে বস্তি উচ্ছেদ করে নয়, বস্তিবাসীর কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করার জন্যই প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ করা হচ্ছে। আমরা গ্রামে শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৩ জুনে পুরান ঢাকার নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জন পুড়ে নিহত হওয়ার ঘটনার পর আবাসিক এলাকায় রাসায়নিক কারখানা বা উচ্চমাত্রার দাহ্য পদার্থ মজুদে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। তারপরেও গত বছর ২০ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭৮ জন প্রাণ হারায়। এর পর সরকার রাজধানী থেকে কেমিক্যালের গোডাউন অন্যত্র স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়।