স্টাফ রিপোর্টার : আবারো সমাবেশের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে ২০ দলীয় জোট। ইজতেমার পরদিন ১২ জানুয়ারি এই সমাবেশের ডাক দেবেন জোটনেত্রী অবরুদ্ধ বেগম খালেদা জিয়া। আজ বা কালের মধ্যেই ব্রিফিং বা বিবৃতির মাধ্যমে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে। ২০দলের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। অবরুদ্ধ হবার পরদিন গত ৫ জানুয়ারিতেই বেগম খালেদা জিয়া সরকারের প্রতিশর্ত দিয়ে বলেছেন, যতোদিন পর্যন্ত আমাদের সমাবেশ করতে না দেয়া হবে ততোদিন পর্যন্ত অবরোধ চলবেই। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, আগামী ১০ জানুয়ারি আওয়ামীলীগের সমাবেশ। ১১ জানুয়ারি ইজতেমার আখেরি মোনাজাত। এর পরদিন ১২ জানুয়ারি সমাবেশ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট। সমাবেশের অনুমতি না দিলে চলমান অবরোধ অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দেবে সরকার বিরোধী এই জোটটি। আলাপকালে বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েক শরিকদলের সিনিয়র নেতারা ইনকিলাবকে জানান, অনেক আগে থেকেই ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ঘোষণা করেছিল। ওই দিন আওয়ামীলীগের পাল্টা কর্মসূচির কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজধানীতে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর গণতন্ত্র হত্যা দিবসকে ঘিরেই ২০ দলীয় জোটের প্রধান নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গত ৪ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত গুলশানে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাবন্দী করা হয়েছে। সারাদেশে দলের লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেফতার ও বাসা বাড়ীতে তল্লাশি চালিয়ে হয়রানি করছে। এরই প্রতিবাদে ৫ জানুয়ারিতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ ঘোষণা করেছেন জোট নেত্রী।আন্দোলনকারীদের ধারণা, ১০জানুয়ারি ডিএমপির ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে। সে জন্যই ১২ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, নয়াপল্টন বা শাপলা চত্ত্বরে সমাবেশ করার অনুমতি চাইবে তারা।