গাজীপুর: কাপাসিয়ায় বন থেকে অবৈধভাবে গাছ কেটে পাচারের প্রস্তুতির সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও সহযোগীতায় অভিযান পরিচালনা করে ৮০ টি গজারি (বল্লী) গাছ জব্দ করেছে গাজীপুর বন বিভাগ। একই সঙ্গে জেলার কালিয়াকৈর, শ্রীপুর সহ বিভিন্ন চোরাই রুটে এ ধরণের অভিযান চালানোর দাবী সাধারণ মানুষের।
বুধবার দিবাগত মধ্যে রাতে কাপাসিয়া চাঁদপুরের কোটবাজালিয়া গ্রামে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। জব্দকৃত গাছের অনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা।
কাপাসিয়ার চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মতিউর রহমান শিকদার বলেন, সম্প্রতি স্থানীয় সুমন মিয়া কোটবাজালিয়া সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয় সংলগ্ল তার নিজস্ব জমি থেকে গজারি গাছ কেটে বিক্রি করে। পরে বুধবার দিবাগত মধ্যে রাতে গাজীপুর বন বিভাগের কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করে ওই গাছ জব্দ করেছে। ‘বিনা অনুমতিতে গাছ কাটার অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপরে জব্দকৃত ৮০ টি গজারি গাছ নিয়ে যায় বন বিভাগের কর্মকর্তারা। গজারি গাছ কাটতে অনুমতির লাগে এই বিষয়ে আমাদের জানা নেই’।
শ্রীপুর রেঞ্জের সূর্যনারায়নপুর বিট কর্মকর্তা অনিসুর রহমান বলেন, বুধবার দিবাগত মধ্যে রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও গোয়েন্দাদের সহযোগীতায় কাপাসিয়ার চাঁদপুরের কোটবাজালিয়া সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয় সংলগ্ল সূর্যনারায়নপুর বিটের অন্তর্ভুক্ত বন থেকে বিনা অনুমতিতে অবৈধভাবে গাছ কেটে পাচারের খবরে অভিযান পরিচালনা করে ৮০ টি গজারি গাছ জব্দ করা হয়েছে। পরবর্তী জব্দকৃত গজারি গাছ বিট অফিসে এনে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, জব্দকৃত গাছের অনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা। এই এলাকা থেকে প্রতিনিয়তই অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকার গজারি গাছ পাচার হচ্ছে। বন বিভাগের কর্মরতা এবং স্থানীয় পুলিশকে মেনেজ করেই নিয়মিত বন থেকে অবৈধভাবে গাছ কেটে পাচার করে একটি চক্র। প্রায় প্রতি রাতেই কাভার্ড ভ্যানে লোড করে কাপাসিয়ার চেরেগআলী মোড়ে থাকা পুলিশ চেকপোস্ট অতিক্রম করেই পাচার করা হয় গজারী গাছ। আর অবৈধভাবে গজারী গাছ কেটে বিক্রির চক্রে জড়িত রয়েছে রবড়পুশিয়া গ্রামের বিল্লাল, তিলশুনীয়া গ্রামের সোলেমান, ডেপুলিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর এবং ভাকোয়াদি স’মিলের মালিক কোটবাজালিয়া গ্রামের হেলাল।
গোপন সূত্র জানায়, গজারী গাছ পাচারের সাখে বন বিভাগের কতিপয় লোক, পুলিশ ও কতিপয়য় অসাধূ সংবাদকর্মী জড়িত। অভিযানকালে চোরাই কাজে সহায়তাকারীদের চিহিৃত করে আইনের আওতায়া আনার দাবী সচেতন মহলের।