বিল্লাল হোসেন, পলাশ (নরসিংদী ): নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় পরকীয়ার জেরে আল কাইয়ুম নিপুণ (৩৩) নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সোমবার সন্ধ্যার পর উপজেলার ভাগ্যের পাড়া গ্রামের মোকারমের বাড়ির সেফটি ট্যাংকের ভিতর থেকে ওই যুবকের বস্তাবন্দি গলিত লাশ উদ্ধার করে। গত ৩ মার্চ সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় আল কাইয়ুম নিপুণ।
নিহত কাইয়ুম নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়া গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে। তার বাবা বিদেশ থাকায় সে পরিবার নিয়ে নরসিংদীর ভেলানগর এলাকায় তার মা,ভাই.স্ত্রী ও তার ১১ বছরের মেয়েকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতো। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত কাইয়ুমের সাথে ভ্যাগের পাড়া গ্রামের মোকারমের স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী জেসমিন আক্তার সুমির সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। পরকীয়ার জেরে সুমির পরিবারের লোকজন কাইয়ুমকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য বাড়ির পাশে সেফটি ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে। পরে পুলিশ ঘটনার ৫দিন পর সোমবার সন্ধ্যার পর নিহতের লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের সময় নিহতের ভাইসহ স্বজনদের আহাজারিতে কাঁন্নায় আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠে। নিহতের ভাই জাহিদুল ইসলাম অপু জানান, কাইয়ুম গত ৩ মার্চ সন্ধ্যায় বন্ধুর কাছে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। পরে তাকে না পেয়ে ৪ মার্চ নরসিংদী মডেল থানায় একটি নিখোঁজের জিডি করি। পরে সোমবার সন্ধ্যায় নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পলাশ থানার ওসি শেখ মো. নাসির উদ্দিন ও নরসিংদী মডেল থানার ওসি সৈয়দুজ্জামানসহ পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহেদ আহমেদ জানান, নিখোঁজের পর নিহতের মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্রধরে তদন্তে নামে পুলিশ। কল লিস্টে মোকারমের স্ত্রী সুমীর সাথে একাধিক মোবাইল কলের যোগসূত্র পাওয়া যায়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুমীকে আটক করা হয়। পরে সুমীর দেওয়া তথ্যমতে ওই বাড়ির সেফটি ট্যাংকের ভিতর থেকে কাইয়ুমের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সুমীসহ ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।