রেসকোর্স ময়দানে দেয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সংবিধানের পঞ্চম তফসিলে অসম্পূর্ণ ও ভুলভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।একইসঙ্গে সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর সঠিক ভাষণ অন্তর্ভুক্তিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়সহ বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সংবিধানের পঞ্চম তফসিলে থাকা ভাষণের সঙ্গে এ-সংক্রান্ত সকল অডিও-ভিডিও পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন আগামী ৬ই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত। পরে আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সংবিধানের পঞ্চম তফসিলে অসম্পূর্ণ ও ভুলভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর সঠিক ভাষণ অন্তর্ভুক্তিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক সচিব, তথ্য সচিব এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের পরিচালককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ৫ই মার্চ, হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস এ রিট দায়ের করেন।
রাজবাড়ীর রায়নগর গ্রামের কাশেদ আলীর পক্ষে এ রিট দায়ের করা হয়। সংবিধানে ৭ই মার্চের ভাষণ ভুলভাবে উপস্থাপন করায় রিট রিটে আইন মন্ত্রণালয় সচিব এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের পরিচালকসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে। রিট আবেদনে সংবিধানে থাকা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের ভুলটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের পূর্ণাঙ্গ ভাষণটি বাংলা এবং ইংরেজিতে অন্তর্ভুক্তির আবেদন করা হয়।