পুলিশের হানায় মধ্যরাতে হোটেলে একে অপরকে একান্তে কাছে পাওয়া হলো না প্রেমিক যুগলের। আবার আদালতে জরিমানা দিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারলেন না আইনজীবী প্রেমিক।
অবশেষে বিয়ে করেই এর পরিসমাপ্তি ঘটাতে হলো চট্টগ্রাম জর্জকোর্টের তরুণ আইনজীবী নাসিমুল আবেদীনের।।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের তরুণ আইনজীবী নাসিমুল আবেদীন মধ্যরাতে প্রেমিকাকে নিয়ে উঠেন এক আবাসিক হোটেলে। আর ওই হোটেলটিতেই পুলিশ হানা দিয়ে আটক করে আইনজীবী ও তার প্রেমিকাকে।
আটকের পর প্রেমিক-প্রেমিকাকে পরদিন হাজির করা হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতে। আদালত উভয়কেই ২০০ টাকা করে জরিমানা করেন। জরিমানা পরিশোধের পর আদালত পুলিশের মাধ্যমে তাদের বিবাহ সম্পন্নের আদেশ দেন।
প্রেমিক-প্রেমিকার এ বিয়ে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী এলাকায় চাঞ্চল্যের ঝড় তুলেছে।
চন্দনাইশ থানা পুলিশ জানায়, দোহাজারী সদরের আজম আরজু আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কাজ হয় বলে তাদের কাছে অভিযোগ আসে। তাই হোটেলটিতে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় থানা পুলিশ। সে সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে এসআই রতনেশ্বর মণ্ডলের নেতৃত্বে পুলিশ হোটেলটিতে অভিযান চালায়।
অভিযানের সময় হোটেলটির একটি কক্ষ থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোহাম্মদ নাসিমুল আবেদীন (২৮) ও একই উপজেলার কাঞ্চনাবাদের আবদুস সাত্তারের মেয়ে কাজী তাহমিনা আকতারকে (২২) আটক করে পুলিশ।
আটকের পর নাসিমুল আবেদীন নিজেকে চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবী বলে পরিচয় দেন। পরদিন বুধবার পুলিশ প্রেমিক-প্রেমিকাকে চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত রেজার ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করে।
প্রেমিক যুগল একে অপরকে ভালোবাসার কথা আদালতকে জানান। একে অন্যকে একান্তভাবে কাছে পেতে তারা হোটেলে ছিলেন বলে স্বীকার করেন। আদালত তাদের জরিমানা পরিশোধের আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশের মাধ্যমে স্থানীয় নিকাহ রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠান।
বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ ও আদালতের সম্মতিতে ৫ লাখ ১ টাকা দেনমোহরে নাসিমুল আবেদীন ও তাহমিনা আক্তারের বিবাহ সম্পন্ন করে। বিয়ের অনুষ্ঠানে কনের অভিভাবকরা উপস্থিত থাকলেও বরপক্ষের কেউ ছিলেন না।
নিকাহ রেজিস্ট্রার আবু তালেব তাদের বিয়ে সম্পন্ন করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, প্রেমিক-প্রেমিকা দুজনই সাবালক। আদালতের নির্দেশে তাদের বিয়ে পড়ানো হয়েছে। প্রেমিক-প্রেমিকাও বিয়েতে সম্মত ছিলেন।